রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


স্কুলছাত্রী অপহরণ: পাঁচ মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ


প্রকাশিত:
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:০৬

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২:১৭

প্রতীকি ছবি

নওগাঁর মহাদেবপুরে চাঞ্চল্যকর অপহরণের পাঁচ মাসেও নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা পুলিশ। মেয়েকে ফিরে পেতে তার পিতা এখন দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা ৫ জনের নাম উল্লেখ করে গত বছরের ২৯ অক্টোবর নওগাঁর ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে’ একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ১৮(১)(খ) ধারামতে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিলে ৩ নভেম্বর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলা নম্বর-০৬।

এদিকে, গত ৫ মাসেও অপহৃত ওই ছাত্রী উদ্ধার না হওয়ায় তাকে ধর্ষণ, খুন, গুম বা পাচার করা হতে পারে আশংকায় তার পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওই স্কুলছাত্রীর পিতা অভিযোগ করেন, তার মেয়ে রাইগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। মহাদেবপুর উপজেলা সদরের দুলালপাড়া (কুশার সেন্টার) গ্রামের মাসুদ রানা লিটনের ছেলে সামিউল ইসলাম ঝন্টু (২৪) প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করতো। নানা ভঙ্গি ও কৌশলে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখান করে।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩ অক্টোবর শনিবার দিবাগত রাত ৪ টার দিকে সামিউল ইসলাম ঝন্টু ও তার সহযোগীরা বাড়ির প্রাচীর টপকে ওঁৎ পেতে ছিলেন। তার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ঘরের বাইরে আসলে তারা জোড়পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি (স্কুলছাত্রীর পিতা) একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। রাইগাঁ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) আব্দুল মতিন মন্ডলকে মামলাটির তদন্তভার অর্পণ করা হয়। কিন্তু গত ৫ মাসেও তদন্ত কর্মকর্তা তার মেয়েকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের তেমন কোন উদ্যোগ নেননি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, সামিউল ইসলাম ঝন্টু পালিয়ে থাকলেও তার সহযোগীরা ঘটনার পর থেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রহস্যজনক কারনে তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে রাইগাঁ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, ‘এটি একটি তদন্তাধীন মামলা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আসামিদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে; তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কিন্তু আসামিদের তিনি কেন গ্রেপ্তার করতে পারছেন না তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।’ এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘অভিযান চালানো হচ্ছে। ভিকটিম উদ্ধার ও প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’ 

 

 

আরপি/এসআর-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top