রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


রাণীনগরে কাজীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


প্রকাশিত:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৪১

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০২:০১

সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: প্রতিনিধি

নওগাঁর রাণীনগরে নিকাহ রেজিষ্ট্রার কাজী বেলাল হোসেইনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে রাণীনগর উপজেলা পরিষদের সামনে তার ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকে এসংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন কাজী বেলাল হোসেইন।

লিখিত বক্তব্যে কাজী বেলাল হোসেইন জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনলাইন নিউজ পোর্টাল “পূর্বপশ্চিম” অনলাইনে “জন্মের এক বছর আগে দাখিল আর জন্মের এক বছর পরেই আলিম পাশ” ও “দেশ দর্পন” অনলাইনে একই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই সংবাদটি আমাকে সমাজে হেও প্রতিপূন্ন করার লক্ষে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এই সংবাদটি পরিবেশন করা হয়েছে। এ রকম মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করায় এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রকাশিত ওই সাংবাদটিতে বলা হয়েছে, আমার জন্ম তারিখ ১-১-১৯৮৪ ইং দাখিল পাশ দেখানো হয়েছে ১৯৮৩ ও আলিম পাশ দেখানো হয়েছে ১৯৮৫ এবং বেলাল নামে আমার একজন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার পিতার নাম মৃত ময়েন উদ্দিন, সাং মালঞ্চি, রাণীনগর, নওগাঁ। এর সার্টিফিকেট ঘোসামাজা বা মিশ্রিতকরণ উল্লেখ করা হয়েছে এর সাথে আমার কোন সম্প্রিক্ততা নেই। আমার কোন ভুয়া কাগজ পত্র নেই।

তিনি প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে বলেন, আমার জন্ম তারিখ ১-১-১৯৮৪ ইং দাখিল পাশ রাণীনগর আল আমিন দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০০০ ইং সালে, আলিম পাস ২০০৬ ইং নওগাঁ নামাজগড় গাউসুল আজম কামিল মাদ্রাসা থেকে ও ফাজিল পাশ ওই মাদ্রাসা থেকে ২০০৯ সালে এবং কামিল পাশ একই মাদ্রাসার অধিনস্ত কুষ্টিয়া ইসলামিক ইউনিভারসিটি কুষ্টিয়া। এই কাজপত্র দিয়েই আমি নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার ২নং কাশিমপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রারের নিয়োগ পাই। বেলাল নামে যে শিক্ষকের কথা প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি আমার কোন শিক্ষক ছিলেন না এবং আমি তাকে দেখিনি ও চিনিও না। আমার নাম বেলাল হোসাইন, পিতা নাজিম উদ্দিন, সাং গহেলাপুর, বর্তমান সাং এনায়েতপুর, রাণীনগর, নওগাঁ। অপর দিকে প্রকাশিত সংবাদে রাণীনগর আল আমিন দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার হারুনুর রশিদের যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে সে এরকম বক্তব্য দেননি বলে জানান। কাজী বেলালের বিষয়ে কোন তথ্য জানতে চাইলে আমার মাদ্রাসায় আসলে রেকড গুলো পর্যাআলোচনা করে প্রকৃত তথ্য দেওয়া যাবে। কিন্তু আমার দপ্তরে আসেনি এবং আমার বক্তব্য বিকৃত করে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য আমিও এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

লিখিত বক্তব্যে কাজী বেলাল আরো জানিয়েছেন, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার রাণীনগর সংবাদদাতা, দীপ্ত টিভি, পূর্ব পশ্চিম অনলাইন ও সোনার দেশ পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রউফ রিপন এবং দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার রাণীনগর প্রতিনিধি ও দেশ দর্পন অনলাইনের নওগাঁ প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম আমার কাছ থেকে তারা দুইজন মিলে বিভিন্ন সময়ে ১ লাখ টাকা তাদের দিতে হবে বলে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। আমি সেই চাঁদার টাকা দিতে না চাইলে তারা দুই সাংবাদিক মিলে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আমার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই লিখে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এতে সমাজে আমাকে হেও প্রতিপূর্ন ও মান ক্ষুন্ন করেছেন। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।

এব্যাপারে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ও আব্দুর রউফ রিপন বলেন, কাজী বেলালের বিরুদ্ধে সু-নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ধারাবাহিক অনিয়ম, দূর্নীতির সংবাদ করার কারনে সে নিজে এবং কয়েকজন নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার অপকর্ম আড়াল করতে “মিথ্যে” অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top