রাজশাহী শুক্রবার, ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩রা ফাল্গুন ১৪৩১


নওগাঁয় ৫ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে শাকসবজি আবাদ, কমেছে দাম


প্রকাশিত:
১৭ নভেম্বর ২০২০ ০১:২০

আপডেট:
১৭ নভেম্বর ২০২০ ০১:২২

বাজারগুলো সবজিতে ভরপুর

নওগাঁর বাজারগুলোতে শীতকালীন শাকসবজির ব্যপক আমদানি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখানকার বিভিন্ন হাটবাজারসহ জেলা শহরের প্রধান কাঁচা বাজার, মুক্তিরমোড় বাজার, দয়ালের মোড় বাজার, সদর উপজেলা পরিষদ বাজার, বাস টার্মিনাল বাজার, বিহারী কলোনী বাজারসহ দয়ালের মোড় বউ বাজার ও পারনওগাঁ খলিফাপাড়া বউবাজার এবং আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ, বিহারীপুর মুক্তিযোদ্ধাবাজার, নওদুলী হাট,আহসানগঞ্জহাট, মির্জাপুর, সমসপাড়া হাটসহ বিভিন্ন অলিগুলির ছোট বড় হাট বাজারগুলোতে এখন শীতের নানা সব্জির সামাহার। ব্যপক আমদানীর পাশাপাশি এসব সবজির দামও কমতে শুরু করেছে।

নওগাঁ জেলায় চলতি শীত মওসুমে মোট ৮ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ১৫০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ২১০ হেক্টর, আত্রাউ উপজেলায় ৩৭৫ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ১ হাজার ১৬৫ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ১ হাজার ২০০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ৭২০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১ হাজার ৩১৫ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৩৬০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১ হাজার ২৪৫ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৬১৫ হেক্টর। এসব জমি থেকে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৪০ মেট্রিক টন শাকসিব্জ উৎপাদিত হবে বলে কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা।

এখন পর্যন্ত জেলায় ৫ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে শীতের শাকসব্জি উৎপাদিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শামসুল ওয়াদুদ বলেছেন- এ বছর কৃষি বিভাগ কর্তৃক ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী শাকসব্জি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৩৫০ হেক্টর জমিতে লালশাক, ১৩০ হেক্টর জমিতে সবুজশাক, ৩২০ হেক্টর জমিতে পালংশাক, ১৫০ হেক্টর জমিতে পুঁইশাক, ১২০ হেক্টর জমিতে কলমীশাক, ৪৮০ হেক্টর জমিতে মুলা, ৩২০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি, ৩৯০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি, ৯০ হেক্টর জমিতে গাজর, ৩৮০ হেক্টর জমিতে করলা, ৩৮০ হেক্টর জমিতে শসা, ১০০ হেক্টর জমিতে খিরা, ৮২০ হেক্টর জমিতে বেগুন, ১০০ হেক্টর জমিতে বরবটি, ২১৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া, ২৬৫ হেক্টর জমিতে টমেটো, ৯০০ হেক্টর জমিতে শিম এবং ৩৩০ হেক্টর জমিতে লাউ উৎপাদিত হয়েছে।

বাজারে শাকসবজির দাম কমতে শুরু করেছে। জেলা বাজারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন- রবিবারের বাজার অনুযায়ী লালশাক ৪০ টাক থেকে কমে গিয়ে ৩০ টাকা কেজি, পালংশাক ৬০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা কেজি, বেগুন ১০০ টাকা থেকে কমে গিয়ে ৬০ টাকা কেজি, শিম ১৬০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা কেজি, বাধা কপি প্রতিটি ৫০ টাক থেকে কমে ৩০/৩৫ টাকায়, ফুরকপি প্রতিটি ৫০ টাকা থেকে কমে ৩৫/৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য শাকসবজির দামও তূলনামূলকভাবে কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

 

 

আরপি/এসকে

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top