রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


দ্বিতীয় ধাপের বন্যায় নওগাঁয় ফসলের ক্ষতি ৭১ কোটি টাকা, ক্ষতিগ্রস্থ ৩৭ হাজার ৬১১ কৃষক


প্রকাশিত:
২১ অক্টোবর ২০২০ ০০:১৮

আপডেট:
২১ অক্টোবর ২০২০ ০০:২৩

 

দ্বিতীয় ধাপের বন্যায় নওগাঁর ১১টি উপজেলায় ৫ হাজার ৭শ ৮২ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান এবং ১০৪ হেক্টর জমির শাকসব্জি সম্পূর্নভাবে বিনষ্ট হয়েছে। বিনষ্ট হয়ে যাওয়া ধান এবং শাকসব্জির আর্থিক মূল্য ৭১ কোটি ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা । এর মধ্যে ধানের আর্থিক মুল্য ৬৩ কোটি ৪৯ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা এবং সব্জির আর্থিক মূল্য ৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের মোট সংখ্যা ৩৭ হাজার ৬শ ১১ জন। এদের মধ্যে রোপা আমন ধানের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ৩৪ হাজার ৪শ ৯৯ জন এবং শাকসব্জির ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংখ্যা ৩ হাজার ১শ ১২ জন।

নওগাঁ জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শামসুল হুদা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের বন্যার ফলে জেলার উপজেলা ভিত্তিক বিনষ্ট হয়ে যাওয়া রোপা আমন ধানের জমির পরিমাণ মান্দা উপজেলায় ১ হাজার ৪শ ৪০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ২ হাজার ১শ ৮০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ৭শ ৫৪ হেক্টর, নওগাঁ সদর উপজেলায় ৭শ ৩২ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ৮০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ৫০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১শ ২৩ হেক্টর, পতœীতলা উপজেলায় ১০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ৩শ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৮৩ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩০ হেক্টর। কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী বিনষ্ট হয়ে যাওয়া জমি থেকে ১৭ হাজার ৬শ ৩৮ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হতো। এই চালের আর্থিক মুল্য ৬৩ কোটি ৪৯ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা।

অপরদিকে জেলার রানীনগর উপজেলায় ৪ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ২৫ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ৩০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১৬ হেক্টর এবং মান্দা উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমির শাকসব্জি সম্পূর্নভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে যাওয়া শাক সব্জির বাজার মুল্য ৭ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শামসুল হুদা জানিয়েছেন, জেলার বিভিন্নভাবে ফসলের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সরকারিভাবে তাদের বিশেষ প্রণোদনা দেয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিকল্প ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে।

 

 

আরপি/এসকে



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top