রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


মহাদেবপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে থানা সংলগ্ন বসতবাড়িতে হামলা, জবর দখল


প্রকাশিত:
২০ অক্টোবর ২০২০ ০১:৫০

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩১

দখলকৃত বসতবাড়ি। ছবি: প্রতিনিধি

নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে থানা সংলগ্ন একটি বসতবাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মারপিট করে বাড়ি জবর দখল করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে। কিন্তু বাড়িটি হামলাকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করতে পারেনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জবর দখলকারীরা বাড়িটিতে অবস্থান করলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়নি।

উপজেলা সদরের থানা ভবনের পূর্বদেয়াল সংলগ্ন মৃত হোমিও ডা. নূর মোহাম্মদের ছেলে তৌহিদুজ্জামান অভিযোগ করেন যে, তার পিতার কেনা ১৮ শতক জমির উপর বাড়ি নির্মাণ করে ৬০ বছরের বেশী সময় ধরে বসবাস করে আসছেন।

গত রোববার সকালে উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের ইটালী গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিন বক্সের ছেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও তার ভগ্নিপতি শওকত হোসেন লাকির নেতৃত্বে একদল লাঠিয়াল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা প্রথমে বাড়ির বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে লোকজনদের মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। তারা ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়, আসবাবপত্র তছনছ করে ও দল বেঁধে বাািড়র একাংশ দখল করে নেয়।

তাদের হামলায় তৌহিদ, তার ছোট ভাই শহীদুল ইসলাম ফারুক ও তার স্ত্রী সুরাইয়া বেগম মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সেখান থেকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর ছেলে আবু সাঈদ জীবন (৩০) ও নওগাঁ সদর উপজেলার ফারাদপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে বায়েজিদ হোসেনসহ (৩০) দুই জনকে আটক করে। এ ব্যাপারে রাতে তৌহিদ বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ঘটনার খবর পাবার সাথে সাথেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই জনকে আটক করেছে। সোমবার দুপুরে তাদেরকে নওগাঁ কোর্টে চালান দেয়।

সোমবার বিকেলে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে জবরদখল করা বাড়িতে একদল মহিলাকে অবস্থান করতে দেখা যায়। তারা মাটির দুটি ঘর দখল করেছে। বাড়ির কিছু অংশ টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়ে রান্না করছেন। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানায়, তাদের সম্পত্তি তারা দখল করেছে।

মোবাইলফোনে শওকত হোসেন লাকির সাথে কথা বললে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজী হননি।

আহত সুরাইয়া বেগম জানান, জবরদখলকারীরা তাদেরকে সবসময় বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তাদের ড্রেন বন্ধ করে দেয়ায় পানি বের হতে পারছেনা। সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেননা। তারা এখন প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।প্রকাশ্য দিবালোকে উপজেলা সদরে থানা সংলগ্ন স্থানে এমন সন্ত্রাসী ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top