রাজশাহী মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


নওগাঁয় ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত


প্রকাশিত:
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:১৩

আপডেট:
২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:১২

ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি। ছবি: প্রতিনিধি

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ১০ মিনিটের ঝড়ে দুইটি গ্রামের প্রায় শতাধিক ঘড়বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের জগদাশ গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী বিশা ইউনিয়নের ইসলামগাতী গ্রামের উপর দিয়েক আষ্মমিক এ ঘূুর্নিঝড় বয়ে যায়।

বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সানাউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আষ্মমিক উত্তর দিকে থেকে প্রচন্ড বেগে ঘূর্নিঝড় এসে দক্ষিনে উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের জগদাশ গ্রাম ও পার্শ্ববতী ইসলামগাতী গ্রামের উপর দিয়ে চলে যায়। প্রায় ১০ মিনিটের এ ঘূর্নিঝড়ে দুই গ্রামের প্রায় শতাধিক কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে। অনেকের ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে ও ইটের ঘরের প্রাচীর ভেঙে গেছে। এ ছাড়াও বিদ্যুতের কয়েক খুঁটি ওপড়ে যাওয়ায় ঘটনার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

রাত থেকে বিধস্ত এলাকাবাসী খোলা আকাশে নিচে অবস্থান করছে। এছাড়া গাছপালা ভেঙে ও উপরে অনেক বাড়ির উপর পড়েছে। এসময় বাড়িতে থাকা তিন ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রাস্তার উপর গাছপালা ভেঙে পড়ায় আত্রাই থেকে সিংড়া সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থল গিয়ে গাছগুলো অপসারণ করে যোগাযোগ স্বাভাবিক করে।

জগদাশ গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হঠাৎ করেই উত্তর দিকে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসে দক্ষিন দিকে চলে যায়। ঘূর্ণিঝড় ১০ মিনিটের মতো স্থায়ী হয়। এতে প্রায় অর্ধশত বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উড়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

একই গ্রামের গ্রামের আবু বক্কর বলেন, তার ইটের বাড়ির চারটি ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। গাছ ভেঙে পড়ায় প্রাচীর ভেঙে গেছে। কিছু টিন আত্রাই নদীতে পড়ে আছে। বাকী টিনগুলো কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। পরিবার পরিজন নিয়ে রাত থেকে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

একই কথা জানান জালাল উদ্দিন। তার মাটির বাড়ির টিনের ছাপড়ার চালা উড়ে গেছে। তবে কয়েকটি উড়ে যাওয়া টিন পাশেই পড়ে ছিল। সকালে গিয়ে সেগুলো নিয়ে আসছেন। বাকিগুলোর কোন হদিস মিলেনি। এরকম ঘূর্ণিঝড় তিনি কখনো দেখেননি। প্রচন্ড ঝগের সঙে বৃষ্টি। সকালে ইউএনও স্যার কিছু শুকনা খাবার দিয়েছেন।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সানাউল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। বিশেষ করে টিনের চালার ঘরগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ ও ত্রানের চাল দেয়া হচ্ছে।

 

আরপি/আআ-১০



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top