রাজশাহী শুক্রবার, ১৪ই মার্চ ২০২৫, ১লা চৈত্র ১৪৩১


ধামইরহাটে ঘরে ঘরে বেড়েছে জ্বর-সর্দি-কাশির প্রকোপ


প্রকাশিত:
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:০১

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১৩:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর ধামইরহাটে আবহাওয়ার বেখেয়ালী আচরনে দিনভর কখনো বাড়ছে ভ্যাপসা গরম আবার কখনো টানা বৃষ্টিতে মিলছে একটু স্বস্তি। আবহাওয়ার এমন বৈরি পরিস্থিতিতে কমবেশি প্রতিটি বাড়িতে চলছে সর্দি, জ্বর, কাশিসহ মাথা ব্যাথার প্রকোপ। ফলে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এধরনের আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বিশেষ করে ১ থেকে শুরু করে ১০-১২ বছরের শিশু ও বয়স্কদের মাঝে এমন রোগের প্রভাব পড়ছে বেশি। একদিকে মহামারি করোনা ভাইরাস অন্যদিকে জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ব্যাথার লক্ষণ নিয়ে অনেকে ভয়ে ডাক্তারদের পরামর্শ ছাড়া নিজেরায় ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশেষ করে ডাক্তারদের ব্যাক্তিগত চেম্বারগুলোতে এ ধরনের রোগীদের উপচে পড়া ভীড় লেগেই থাকছে। এসকল রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় ফার্মেসীগুলোতে ওষুধের দামও চড়া দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

অন্যদিকে রোগ নির্মুলের জন্য ওষুধের দাম অনেকটা বেড়েছে এমনটাই ভাবছে এলাকার সচেতন মহল।

এ বিষয়ে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের অটোচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে গাড়ি চালিয়েছি। সকালে প্রচন্ড রোদ আবার বিকেলে ঝুম বৃষ্টি। কখনো ভ্যাপসা গরম আবার হাল্কা ঠান্ডা শরীরে লেগে কয়েকদিন থেকে জ্বর শর্দি নিয়ে ঘুরছি। পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করেও কোন উপকার মিলছে না।

ভেড়ম গ্রামের কৃষক আক্কাস মিয়া বলেন, আমার শরীরে গত তিনদিন ধরে জ্বর, সর্দি মাথাব্যাথা, কাশিসহ পুরু শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা। বাড়িতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওষুধ খেয়ে এখন অনেকটা সুস্থ হলেও আমার ছোট মেয়েটা বর্তমানে জ্বর সর্দির সাথে লড়ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে এমন রোগ বেশি লক্ষ করা যায় তবে এসবে ভয় না পেয়ে ঘরে বসে মোবাইল ফোনে অথবা হাসপাতালে এসে ডাক্তারদের পরামর্শ নেয়া উচিত।

 

আরপি/আআ-০৮



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top