রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


আত্রাইয়ে এক পরিবারকে দু'বছর ধরে একঘরে করে রাখার অভিযোগ


প্রকাশিত:
১১ আগস্ট ২০২০ ০০:০৩

আপডেট:
১১ আগস্ট ২০২০ ০০:০৫

তুচ্ছ ঘটনাকে কন্দ্রে করে নওগাঁর আত্রাই উপজলোর বশিা ইউনয়িনরে সমসপাড়া গ্রামে একটি পরিবারকে দুই বছর ধরে একঘরে করে রেখেছেন গ্রামের প্রধানরা। ফলে মানবিক জীবন-যাপন করছে ওই পরিবারটি। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুস সাত্তার।

আব্দুস সাত্তার বলেন, দুই বছর পূর্বে তার মেয়ে প্রেম সম্পর্ক করে সামাজিক ভাবে স্থানীয় চেয়ারম্যান, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ উপস্থিতিতে বিবাহ হয়। বিয়ের পর তারা সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করে আসছে। পরবর্তিতে এ বিষয়টি নিয়ে এলাকার গ্রাম প্রধান মোঃ এরশাদ আলী, মোঃ জাহিদুল ইসলাম,আনিছার রহমান (ভোলা),শাহিন,মন্টু, ও রফিক গ্রাম্য শালিস ডেকে ভুক্তোভোগি মোঃ আব্দুস সাত্তার ও তার পরিবারকে এক ঘরে করে রাখে।

আব্দুস সাত্তার দাবি করে বলেন, তার তিন মেয়ে ও মেয়ে জামাইসহ আত্নিয়সজনরা তার বাড়িতে আসতে পারছেন না। এমন কি বিগত দুই বছর ধরে গ্রামের কোন রুপ অনুষ্ঠান, বিবাহ, মৃত্যুর অনুষ্ঠানে তাকে এবং তার পরিবারকে অংশ গ্রহন করতে দেয়া হয় না। ফলে মানবিক জীবন-যাপন করছে। এবং গত দুই বছর মুসলিম ধর্মিয় অনুষ্ঠানেও তাকে অংশ গ্রহন করতে দেয়া হয় না। এ বছর কুরবানি গ্রামের অন্য মানুষের সাথে ভাগে দিতে টাকা প্রদান করা হলে সে টাকা ফেরত প্রদান করা হয়। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে তিনি গ্রামের অন্যান্য পরিবারের সহিত যোগাযোগ করা হলে তাদের কেও বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হয়।

গ্রাম প্রধানরা পূর্বের একটি মুসলিকাকে পুঁজি করে ভুক্তোভোগি আব্দুস সাত্তারের নিকট মোটা অংকের টাকা দাবি করেন ওই গ্রাম প্রধানরা। এ অবস্থায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করায় দুশ্চিন্তায় তার শরীরে উচ্চ রক্ত চাপ, ডায়াবেটিস ও শ্বাস কষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে ধরেছে।

এ বিষয়ে গ্রাম প্রধান মোঃ এরশাদ আলী আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আপনারা গ্রামে আসুন বৈঠকের মাধ্যমে সব কিছু জানানো হবে, তবে আমি একক ভাবে আপনাদের সাথে এ বিষয়ে কোন কথা জানাতে বা বলতে রাজি নয়।

অপরদিকে গ্রাম প্রধান জাহিদুলের সাথে কথা বললে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হন নাই।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা জানান এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে বিষযটি মৌখিক ভাবে জানান, পরবর্তিতে আমি ওই সব গ্রাম প্রধানকে আমার ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে বিষয়টি অবহিত করি এবং আব্দুস সাত্তারকে এক ঘরে থেকে অব্যহতি দিয়ে সকলে গ্রামে একসাথে বসবাস চলাফেরা করারজন্য নির্দেশ দেই। কিন্তু গ্রাম প্রধানরা এখনো পর্যন্ত আমার কথা রাখে নাই। আইনের কোন বিধান নাই যে কাউকে যে কোন বিষয়ে গ্রাম প্রধানরা এক ঘরে করে রাখা।

গ্রামের কোন ব্যক্তি কোন অপরাধ বা অন্যায় করে থাকলে তার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, থানা পুলিশ আছে সে খানে অভিযোগ করা উচিৎ। কেহ যদি আইন নিজের হাতে তুলে নেয় তার জন্য সে ব্যক্তিই নিজেই দায়ি হবেন। আব্দুস সাত্তার কে এক ঘরে করে রাখা হয়েছে এ বিষয় আমার জানা নাই। এ বিষয়ে ভুক্তভোগি আব্দুস সাত্তার উদ্ধর্তন মহল ও আইন প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

 

আরপি/আআ-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top