রাজশাহী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


ধামইরহাটে বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলসহ ২০ পরিবার প্লাবিত


প্রকাশিত:
২৪ জুলাই ২০২০ ২০:৩২

আপডেট:
৫ মে ২০২৪ ১২:৩৪

বৃষ্টিতে প্লাবিত। ছবি: সংবাদদাতা

বিকেল হতেই নীল আকাশের চারদিকে নেমে আসে অন্ধকার। এসময় আকাশে বিজলী চমকানীতে ঘরমুখী রাখাল গরু-ছাগল নিয়ে ছুটে যায় নীড়ে। টিপ টিপ বৃষ্টির সাথে রাত ঘন হতেই ভারি বর্ষনে প্লাবিত হয় পথ-ঘাট, ঘর-বাড়িসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।

সারারাত টানা বৃষ্টিতে ধামইরহাট উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হয়ে পরে। বর্ষাকালে এমন ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পৌর সদরে উত্তর চকযদু ৬ নং ওয়ার্ডে প্রায় ২০টি পরিবারের ঘর বাড়িতে পানি ঢুকে পরলে ঘুমন্ত ছেলে মেয়ে গরু ছাগল, হাঁস মুরগীসহ ডুবে যাওয়া ঘরের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নিয়ে বিপাকে পরেন ২০টি পরিবারের লোকজন। এসময় রাতের ঘুম হারাম করে ভুক্তভোগীরা পানি নিষ্কাশনের জন্য আপ্রাণ চেষ্ঠা করেও ভারী বর্ষণের কারনে বৃষ্টির পানি নিয়ন্ত্রনে আনতে না পারায় এমন করুণ দৃশ্যের অবতারনা হয়।

সরো জমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রায় এক যুগের অধিক নওগাঁর ধামইরহাট পৌরসভায় কোন নির্বাচন না হওয়ায় পৌর প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও অগোছালো প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন স্থানে পানি নিষ্কাশনের জন্য পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারনে অল্প বৃষ্টি হলেই পৌরসভার কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ ওয়ার্ডের রাস্তাঘাটসহ বাড়ি ঘরের ভেতরে এক হাটুজল পানি জমে জনদূর্ভোগে পরিণত হয়। একারনে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বসবাসরত সাধারণ মানুষের মাঝে একরকম চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুস সামাদ জানান, তার বাড়ির ফ্রিজ, চাল-ডাল, কাপড়, ল্যাপ-তোষক, গ্যাসের চুলা প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। রাতে ঘুমানোর পর বৃষ্টির পানি যখন ঘরের খাট পর্যন্ত পৌঁছায় তখন আতংকগ্রস্থ হয়ে পরি। ক্ষতিগ্রন্থ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাহেলা বেগম বলেন, আমার ঘরের প্রায় ১০ মন চাল পানিতে ডুবে গেছে। ছেলে-মেয়েদের বই-খাতা কম্বলসহ মুল্যবান জিনিসপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।

ঘটনার সংবাদ পেয়ে ধামইরহাট পৌর মেয়র মো. আমিনুর রহমান ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের নির্দেশ প্রদান করেন বলে পৌর প্রশাসন এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন।

 


আরপি/আআ-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top