ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ
                                নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করায় ৩ জনের জেল প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে।
উপজেলার উমার ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ শ্রেনির ছাত্রী জীবন আক্তার রুহী (১৩) আত্বীয়ের বাসায় চকমহেশ গ্রামে বেড়াতে যায়। সেখানে একই গ্রামের ফুফাতো ভাই চকমহেশ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রশিদুল ইসলাম (২৬) জোর করে মেয়েটির সাথে বিয়ের আয়োজন করে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২১ জুলাই গভীর রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট গনপতি রায়, ওসি আবদুল মমিন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, এস. আই মহসীন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিয়ের আয়োজন পন্ড করে দেন।
এসময় নাবালিক কিশোরীকে বিয়ে করতে আসার অপরাধে বর রশিদুল ইসলাম (২৬) এর ৬ মাস জেল, বিয়ের সহযোগিতা করায় বোন লাভলী আকতারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের জেল এবং বরের অভিভাবক (চাচী) আতোয়ার রহমানের স্ত্রী টপি আরাকে বাল্য বিয়েতে সহযোগীতার দায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আজাহার আলী জানান, করোনা কালীন মুহুর্তে জীবনের ঝুকি নিয়ে উপজেলা নিরবাহী অফিসার গনপতি রায় নিয়মিত ভাবে বাল্য বিবাহ বন্ধে যে ভাবে জোরালো ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তা স্বরণীয়। বাল্য বিয়ে বন্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা ও অভিভাবক মহলের সচেতনতাই যথেষ্ঠ।
আরপি/আআ-২৪
বিষয়: ইউএনও হস্তক্ষেপ বাল্যবিয়ে স্কুলছাত্রী রক্ষা

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: