রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


চাঁদাবাজি ও যৌনহয়রানির অভিযোগে নওগাঁ পৌর কাউন্সিলরসহ গ্রেপ্তার ৪


প্রকাশিত:
১৪ জুলাই ২০২০ ০৪:৫৯

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৩৭

ছবি: প্রতীকি

চাঁদাবাজি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে নওগাঁ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাপ রহমান বনরাজসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সকালে নওগাঁ শহরের খাস-নওগাঁ এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন, নওগাঁ পৌরসভার খাস-নওগাঁ এলাকার বাসিন্দা রাসেল রহমান, রায়হান আলম ও সিফাত হৃদয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা রিপন ও তাঁর স্ত্রী শান্তনা খাতুন সাত-আট মাস ধরে নওগাঁ পৌরসভার খাস-নওগাঁ এলাকায় একটি বাসায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন। রিপন শহরের একটি পোশাকের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে নওগাঁ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাপ রহমান বনরাজ নেতৃত্বে স্থানীয় সাত-আটজন যুবক রিপনের ভাড়া বাসায় যান।

তাঁরা দাবি করেন, রিপন ও শান্তনা প্রকৃত স্বামী-স্ত্রী নন। বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়াই তাঁরা ওই বাসায় একসাথে বসবাস করছেন। এ সময় তাঁরা রিপনের স্ত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এক সময় বিষয়টি মিমাংসার জন্য কাউন্সিলর বনরাজ রিপনের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। রাতের মধ্যে মুঠোফোনের মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫০ হাজার টাকার ব্যবস্থা করতে বলেন এবং রিপন ও তাঁর স্ত্রীর ফ্লাটে বাইরে থেকে তালা মেরে যান কাউন্সিল ও তাঁর সঙ্গীরা। সকাল ১০টার দিকে রিপনের বাসায় চাঁদার টাকা হস্তান্তর হওয়ার কথা ছিল। রিপনের স্বজনদের মাধ্যমে এ ঘটনা জানার পর নওগাঁ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাউন্সিলর বনরাজ ও তাঁর সঙ্গী রাসেল, রায়হান এবং হৃদয়কে আটক করেন। পরে চাঁদাবাজি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে রিপন কাউন্সিলর বনরাজসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।

ভুক্তভোগী রিপন মণ্ডল বলেন, ‘দুই বছর আগে শান্তনার সঙ্গে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাঁর বিয়ে হয়। অথচ গতকাল রাতে কাউন্সিলর ও তাঁর সঙ্গীরা আমার বাসায় এসে দাবি করেন, আমরা নাকি অবৈধভাবে বসবাস করছি। তাঁরা আমার স্ত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। এক পর্যায়ে কাউন্সিলর বনরাজ এলাকার ছেলে পেলেদের পিকনিক (ভোজ) খাওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করতে বলেন।’

নওগাঁ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, চাঁদাবাজি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে ভুক্তভোগী রিপন দণ্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৮, ৩২৩ ধারায় মামলা করেছেন। কাউন্সিল বনরাজসহ গ্রেপ্তার চার ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

আরপি/আআ-০১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top