রাজশাহী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


মহাদেবপুরে স্বস্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা

ইউএনও’র হস্তক্ষেপে প্রধান সড়ক থেকে সরানো হলো ধানের হাট


প্রকাশিত:
১০ জুলাই ২০২০ ০০:০৫

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ২১:৫৩

প্রধান সড়ক থেকে সরানো হলো ধানের হাট

নওগাঁ জেলার সব চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন এলাকা হিসেবে মহাদেবপুর উপজেলা অনেক আগে থেকেই পরিচিত। আর এ উপজেলায় রয়েছে ছোট বড় প্রায় ৪’শ অটো রাইস মিল। তবে ধান-চাল নির্ভর এ উপজেলায় ধান বিক্রি করার মতো কোন নির্ধারিত হাট বসার জায়গা নেই। প্রধান সড়কের উপর বসানো হতো ধানের হাট। ফলে কৃষক-ব্যবসায়ীদের মধ্যে জায়গা নিয়ে নানা জটিলতা লেগেই থাকতো এবং যানবাহন-পথচারী চলাচল ব্যাহত হতো।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, সপ্তাহে শনিবার ও বুধবার এ দু’দিন ক্রেতা-বিক্রেতারা উপজেলার বক চত্বরের প্রধান সড়কটির দুই পাশ ব্যবহার করে আসছিলেন। এতে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল এবং পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। প্রায় দুই যুগ ধরেই এ কারবারে হাটের দিন চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সাধারণ যাত্রীদেরও।

অবশেষে এ ভোগান্তির অবসান করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান মিলন। এ বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে গত ২০ জুন ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনার পর সড়কের উপর থেকে ধানের হাট সরিয়ে উপজেলা চত্বরের পাশের ফাঁকা জায়গায় বসানো হয়। এতে শনিবার আর বুধবারের তীব্র যানযট দূর হয়েছে। এখন সড়কে আর কোন যানজট থাকছে না।

উপজেলা সদরের বাসিন্দা আমিনুর রহমান ও ছাইদুর রহমান বলেন, ‘হাটের দিন ধানের স্তুপ দেখে মনে হতো না এটা কোন সড়ক। এখন সে পরিস্থিতি নেই। সেই সাথে আর যানজটও হচ্ছে না। দু’দিন সড়কের উপর ধানের হাট বসায় চরম বেকায়দায় পড়তেন ধান বিক্রেতাসহ সাধারণ মানুষ। হাটবারে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মন ধান সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলত বেচাকেনা।’

উপজেলা চাউল কল মালিক সমিতির সাবেক সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ‘আমরা সব সময় ফাঁকা একটি জায়গা চেয়েছি; যেখানে ধান কেনা বেচা করা যায়। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখেছেন এবং ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এখন সড়ক থেকে পাশের ফাঁকা জায়গা দিয়েছেন, এ কারনে ধান কেনা বেচায় স্বস্তি ফিরেছে বলেও জানান তিনি।’

মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ধলু বলেন, ‘আমরা সব সময় চেয়েছি ধান কেনা বেচার জন্য ফাঁকা জায়গায় হাট বসানো হোক। অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু ব্যবসায়ীরা আন্তরিক ছিল না তাই হয়নি। অবশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কাজটি কররেছেন।’

এ ব্যাপারে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান মিলন বলেন, ‘মহাদেবপুরবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল ধানের হাট সরানো। আমি স্থানীয় চালকল মালিকদের সাথে কথা বলেছি। সড়কের যানজট দূর করাসহ ক্রেতা-বিক্রেতারা সহজে ধান কেনা বেচা করতে পারেন সেলক্ষ্যে সড়ক থেকে হাট সরিয়ে আপাতত উপজেলা পরিষদের বাম পাশে ফাঁকা জায়গায় করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চিন্তা করা হচ্ছে ধানের জন্য স্থায়ী কোন জায়গায় হাট বসানো যায় কিনা।

আরপি/ এএন-১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top