ভাতিজার হাসুয়ার কোপে আহত চাচা
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমাইপুকুর গ্রামে ভাতিজা আহমেদ খালিফ মারিমের ধারালো হাসুয়ার আঘাতে চাচা আমিনুর রহমান বাবু গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
গতকাল রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় আমাইপুকুর গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রামের খালের অদূরে অচেতন ও মুমূর্ষ অবস্থায় আমিনুর রহমানকে উদ্ধার করে প্রথমে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরক্ত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্য মতে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ৮৩৭৪/২৫ অনুযায়ী রোগীর চিকিৎসা দেয়া হলেও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি এবং কথা বলতে পারছেন না। রোগীর সিটি স্ক্যান রিপোর্ট অনুযায়ী মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ার কারণে ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোগীর অভিভাবক মাহফিজুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, সরিষা খেতে পানি প্রবেশ করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে আহমেদ খালিদ মারিম তার চাচা আমিনুর রহমান বাবুকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কোপ দেয়। গাল, বুক এবং বাম হাতের তর্জনী আঙ্গুলে কামড় দেয়। তার কামড়ে তর্জনী আঙ্গুল শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অচেতন ও মুমূর্ষ অবস্থায় আমিনুর রহমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান, প্রতিবেশী মোস্তাক, আবুল হোসেন মন্টু সহ আরো তিন-চারজন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে আমিনুরের বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান হেনা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাই ও বোনদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত করে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে তিনি ভাই-বোনদের হুমকি ধামকি দিতেন। ১০-১৫ দিন আগেও আমিনুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারিম ও মোস্তাফিজুর রহমান হেনা উভয়ে মিলে আমিনুর রহমানকে লাঠিপেটা করে। সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও তা রেশ ধরে গতকাল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে মোস্তাফিজুর রহমান হোনার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে গোপনে দেখা করার কথা বলেন।
আহমেদ খালিদ মারিমের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেন নাই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহমেদ খালিদ মারিম এবং তার বাবা মোস্তাফিজুর রহমান হেনাকে আসামি করে পৎলীতলা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
আরপি/এসআর-০৫
বিষয়: আহত
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: