রাজশাহী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


মহাদেবপুর

দ্বিতীয় বিয়ের জেরে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন


প্রকাশিত:
১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:১৮

আপডেট:
৫ মে ২০২৪ ২১:৪৮

ফাইল ছবি

পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে নওগাঁর মহাদেবপুর এলাকার নাসির উদ্দীন নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) নওগাঁর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক এ বি এম গোলাম রসুল এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত আসামি নাসির উদ্দীন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার কাশিবাড়ী কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৪ বছর আগে মহাদেবপুর উপজেলার কাশিবাড়ী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে নাসির উদ্দীন ওরফে নান্নু সাথে স্বরসতীপুর গ্রামের আব্দুস কুদ্দুসের মেয়ে পারুল আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১১ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এজাহার বর্ণিত ঘটনার ১০ মাস আগে কাশিবাড়ী কৃষ্ণপুর গ্রামের ময়নুদ্দিনের মেয়ে শারমিন আক্তারকে গোপনে বিয়ে করেন নাসির উদ্দীন।

পরবর্তীতে পারুল আক্তার দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি জানতে পারলে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘটনার জেরে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি লেগে থাকত। পারিারিক কলহের জেরে পারুল আক্তারকে মাঝেমাঝেই মারপিট করতেন নাসির উদ্দীন।

২০১৮ সালের ১২ জুন দিবাগত রাত ১০টা থেকে পর দিন ১৩ জুন সকাল ৭টার কোনো একসময় নাসির উদ্দিন তার প্রথম স্ত্রী পারুল আক্তারের ঘাড় মটকিয়ে ও পরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে তার স্ত্রী স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন বলে লোকজন জানিয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা করেন।

এ ঘটনায় মৃত পারুল আক্তারের মামা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসা পারুল আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি নাসির উদ্দীন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৪ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌসুলী সঞ্জীব সরকার। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী এমরান হাসান চৌধুরী।

 

আরপি/ এমএএইচ-০৮



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top