রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


নওগাঁয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ছোট ভাইকে মারপিটের অভিযোগ


প্রকাশিত:
৯ জুলাই ২০২১ ০২:২৮

আপডেট:
৯ জুলাই ২০২১ ০২:২৯

প্রতীকী ছবি

নওগাঁর পত্নীতলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সহ তার সহোদর আরও ৩ জনের  এর বিরুদ্ধে ছোট ভাইকে মারধর করায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার  বাদী ইয়ামিন (২৭) পিতা হাফিজ উদ্দীন তার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিতে হালচাষ করতে গেলে বিবাদীগন  নজরুল ইসলাম(৪২), ফজলুল রহমান (৪৫), আমিনুল ইসলাম (৪০), এনামুল (৩০) সর্ব পিতা মো: হাফিজ উদ্দিন সাং-নরটুলী থানা- পত্নীতলা   তাকে বাধা প্রদান করেন এবং মারধর করেন । বিবাদীগণ তাকে  অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।সে তখন জমি থেকে উঠে রাস্তার মোড়ে আসলে উক্ত বিবাদীগণ তার উপর ক্ষিপ্ত হইয়াতাকে কিল, ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে। তখন তিনি মাটিতে নুয়ে পড়ার এক পর্যায়ে লোহার কুড়াল দিয়ে মারতে আসে। তার চিৎকার চেচামেচি শুনে স্থানীয় লোকজন তাদের হাত থেকে তাকে রক্ষা করে।  এ সময উপস্থিত ছিলেন সামাদ (৪৫), মো: শাহ আলম (২৮) সহ বিষয়টি আরো অনেকেই জানে।

প্রত্যক্ষদর্শী শাহ আলম ও কয়েকজন নাম প্রকাশে না করার  শর্তে জানান, ইয়ামিনকে তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম গালিগালাজ এর এক পর্যায়ে তাকে মারধর শুরু করলে, তারা কয়েকজন থামানোর চেষ্টা করলে তাদের কেও  ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। ইয়ামিনকে মেরে ফেলার কথা বারবার বলার এক পর্যায়ে লোহার কুড়াল দিয়ে তেড়ে আসলে তারা বাধা দেয়।

বাদি ও বিবাদী গণের  বাবা আলহাজ্ব  হাফিজ উদ্দিন বলেন, তার দুই পরিবার। প্রথম পরিবারের চার ছেলে সন্তান মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ এনামুল, ফজলুর রহমান,ও আমিনুল ইসলাম। ছোট পরিবারের দুই ছেলে সন্তান ইউসুফ আলী ও ইয়ামিন। ছেলেরা বিয়ে করার পর তারা নিজেরা নিজেদের মতো করে চলাফেরা করে। তার ছোট ছেলে মোঃ ইয়ামিন ছাড়া কোন সন্তান দেখাশোনা না করায় তিনি ইয়ামিনকে গত ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ইং তারিখে তার সম্পত্তি থেকে ০২ একর ৪০ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রী করে দেয়। তার কয়েকদিন পর আমার বড় পরিবারের চার ছেলে এসে বসে বাবা আপনার সব জমি ছোট ছেলে মোঃ ইয়ামিন কে দিলেন তাদের  কিছু দিবেন না। তিনি বলেন তাদের কে তো আগেই দিয়েছে, তারা যখন খুব জোর করছিল তখন তিনি তাদের ১৬ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রী করে দিতে রাজি হয় ।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ তারিখে তাদের কে তিনি ১৬ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রী করে দেয়  কিন্তু পরবর্তী তে জানতে পারে তারা তার নিকট থেকে ১৫৫ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রী করে নেয়। তিনি আমার ছোট ছেলে মোঃ ইয়ামিন কে যে জমিগুলো দেয়  সেগুলোও রেজিষ্ট্রী করে নেয়। তারা এখন আমার বড় পরিবারের ছেলে নজরুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার ক্ষমতার জোরে তারা সবাই তার ছোট ছেলে মোঃ ইয়ামিন কে জমি চাষ করতে দিচ্ছে না। জমি চাষ করতে গেলে মারপিট করছে। তিনি আরো জানান, তারা আমার নিকট থেকে জমি জোর করে রেজিষ্ট্রী করে নিয়েছে এব্যাপারে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

বাদী ইয়ামিন বলেন তিনি ভাইদের সবার ছোট এবং বাবার অন্য পক্ষের সন্তান বলে বড় ভাইয়েরা তাকে ঠকাচ্ছে তিনি এর সুস্ঠ বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন , তাঁকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য  মিথ্যা অভিযোগ সাজানো হয়েছে। এই জমি তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন । তার কাগজ পত্র দলিল আছে।  ইয়ামিন তার ছোট ভাই সে তার (নজরুলের) জমিতে হাল চাষ করতে গেলে সে তাকে বারন করেছে। ওই জমি যদি ইয়ামিনের হয়ে থাকে তাহলে সে কাগজ পত্র নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করুক।   

এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) শামসুল আলম শাহ্  বলেন,  এ ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে  আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরপি/ এস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top