চাঞ্চল্যকর রাব্বী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন

প্রতিকী ছবি
নওগাঁর মহাদেবপুরে চাঞ্চল্যকর নয় বছরের শিশু মাদ্রাসাছাত্র মো. রাব্বী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মুখমণ্ডল থ্যাঁতলানো, পায়ের আঙুল কাটা মরদেহ উদ্ধারের চার মাস পর রহস্য উদঘাটন করে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র রনি। শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আজম উদ্দীন মাহমুদ।
রাব্বী উপজেলার নাটশাল গ্রামের রমজান আলীর ছেলে এবং কুঞ্জবন দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। গ্রেপ্তার হওয়া মো. রনি (১৫) একই উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন নীচপাড়া গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৬ টায় কুঞ্জবন দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসার ১৫০ গজ পূর্বে জনৈক শমসের আলীর জমি থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ বিভিন্নভাবে বিষয়টি তদন্ত করে আসছিলেন। পরিশেষে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হলো পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছোট রাব্বী (ভিকটিম), রনি এবং বড় রাব্বী মাদ্রাসার অদূরে একটি ওয়ালে (দেয়াল) বসে মোবাইলে পর্ণ ভিডিও দেখে। এরপর রনি রাব্বীকে বলাৎকারের প্রস্তাব দিয়ে জোর করে মাদ্রাসার পাশে ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। বিষয়টি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে বলে দিতে চাইলে লাঠি দ্বারা রাব্বীর মাথায় আঘাত করে হত্যা করে রনি।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দীন মাহমুদ বলেন, মামলাটি ছিলো একেবারেই ক্লু-লেস। এরপরও আমরা হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে নিরবিচ্ছিন্ন তদন্ত শুরু করি। তদন্তে প্রযুক্তির সহায়তাও নেওয়া হয়। সর্বশেষ আমরা খুনিকে সনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
আরপি/এসআর-১৭
বিষয়: নওগাঁ মহাদেবপুর রাব্বী হত্যাকাণ্ড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: