রাজশাহী সোমবার, ৩১শে মার্চ ২০২৫, ১৮ই চৈত্র ১৪৩১


কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান


প্রকাশিত:
২৭ এপ্রিল ২০২১ ০২:২৬

আপডেট:
৩১ মার্চ ২০২৫ ১৭:৪২

ছবি প্রতিনিধি

করোনাকালে অর্থ ও শ্রমিক সংকটের কারনে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা মাঠ ভরা পাকা ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে পড়েছেন দুশ্চিন্তাই। ঠিক এমনই সময় অসহায় ও অসুস্থ এক কৃষকের মাঠ ভরা ইরি-বোরো পাকা ধান কেটে দিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সদস্যরা।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের অসহায় কৃষক মো. আব্দুল জলিল দীর্ঘদিন অসুস্থতার কারনে ঘড় বন্দী ছিলেন। অন্যদিকে ইরি-বোরো মৌসুমে তার ৩৩ শতাংশ মাঠভরা জমির ধান পেকে যায়। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় এবং অর্থ সংকটের কারনে তিনি ধান কাটা মাড়াই করতে পারছিলেন না।

লোক মুখে এমন খবর পেয়ে ধামইরহাট ১নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান ও তার লোকজন নিয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই কৃষকের জমির পাকা ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিলেন। করোনাকালে এমন মহত কাজ করায় এলাকাজুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন ওই চেয়ারম্যান।

মাঠে ধান কাটা ও মাড়াই কাজে অংশগ্রহণ করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান, ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন আনাজি, মিজানুর রহমান, আব্দুল মান্নান, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল আতিক, কনক প্রমুখ।

কৃষক মো. আব্দুল জলিল অবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলাম। ’করোনাকালে অর্থের অভাবও ছিল প্রকট। অন্যদিকে মাঠ ভরা পাকা ধান কাটা ও মাড়ায় নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তাই ছিলাম। আমার এই দুর্দিনে চেয়ারম্যান তার লোকবল নিয়ে জমির সম্পুর্ণ ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিলেন। বিষয়টি আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে’।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বলেন, ’রোজা থেকে একজন অসুস্থ ও অসহায় মানুষের ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে পেরেছি এতেই আমার বড় আত্মতৃপ্তি। ভবিষ্যতে এমন অসহায় ব্যক্তির সন্ধান পেলে আমরা তাদের পাশেও দাড়াবো’।

আরপি/ এসআই



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top