রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


নওগাঁয় চাঞ্চল্যকর দুটি হত্যাকাণ্ডে দীর্ঘদিনেও চিহ্নিত হয়নি অপরাধীরা


প্রকাশিত:
৮ মার্চ ২০২১ ২২:৪৯

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ২০:৩১

প্রতীকি ছবি

নওগাঁর মহাদেবপুরে গত দুই মাসে চাঞ্চল্যকর মাদ্রাসাছাত্র রাব্বী ও মৎস্যচাষী সাইদুর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। হত্যাকারীদের দীর্ঘদিনেও চিহ্নিত করতে পারেনি থানা পুলিশ। হত্যারহস্যও উদঘাটন করা যায়নি। প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। পৃথক দুটি হত্যা মামলার তদন্ত করছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি সকালে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র রাব্বী হোসেনের (৯) মুখমণ্ডল থ্যাঁতলানো ও পায়ের আঙুল কাটা মৃতদেহ মাদ্রাসার পাশের মাঠ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সে উপজেলার নাটশাল গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। রাব্বীর পরিবার কুঞ্জবন বাজারের একটি ভাড়া বাসায় কয়েক বছর থেকে বসবাস করে আসছে।

ওই মাদ্রাসাছাত্রের বাবা বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩ জানুয়ারি ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১ ফেব্রুয়ারি আদালত থেকে তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রেরণ করা হয়। রাব্বীর মা রেহেনা বেগম বলেন, ‘গত ৬ জানুয়ারি দিবাগত রাত ৮ টায় তাদের ভাড়া বাসা কুঞ্জবন থেকে রাতের খাবার খেয়ে মাদ্রাসায় চলে যায় রাব্বী। পরের দিন সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে তাকে জানায়।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামিনুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক এর কাছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। যাচাই-বাছাই চলছে। তদন্তের স্বার্থে ওইসব তথ্য এখন প্রকাশ করা যাবে না। মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে।’ তিন মাসেও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এর সদুত্তর দিতে পারেননি।

অপরদিকে, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের তাতারপুর গ্রামের আঁদর পুকুরের পার্শ্ববর্তী একটি কলাবাগান থেকে সাইদুর রহমান (৪২) নামে এক মৎস্যচাষীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি তাতারপুর গ্রামের মৃত সফিজ উদ্দীনের ছেলে। এ ঘটনায় সাইদুরের ছেলে পারভেজ হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

সাইদুরের স্ত্রী পারুল বলেন, ‘তার স্বমী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় পুকুর লীজ নিয়ে মৎস্যচাষ করে আসছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় গত ৩১ জানুয়ারি দিবাগত রাতে আঁদর পুকুরের মাছ পাহাড়া দেয়ার জন্য তৈরিকৃত টং ঘরে ঘুমানোর জন্য যান। সকালে বাড়িতে না ফেরায় পুকুর পাড়ে খোঁজ করতে গেলে সেখানকার একটি কলাবাগানে মৃতদেহ পাওয়া যায়।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহাদেবপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘তদন্ত চলছে। এখনো হত্যারহস্য উদঘাটন করা যায়নি। তবে মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে।

আরপি/ এসআই-৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top