রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪, ৪ঠা বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপিত


প্রকাশিত:
৫ অক্টোবর ২০২১ ০৫:৪৩

আপডেট:
১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:১৮

ছবি: আলোচনা সভা

সারা দেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জেও “নগরীয় কর্মপন্থা প্রয়োগ করি, কার্বণমুক্ত বিশ্ব গড়ি” প্রতিপাদ্যে বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে গণপূূর্ত বিভাগ। এ সময় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মহসিন আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, অতিরিক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ থেকে বাঁচার উপায় হলো বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করা। অতিরিক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের বিরূপ পরিস্থিতি ও ক্ষতির মোকাবেলা করতে হয় সারাবিশ্বের স্বল্পোন্নত ও দরিদ্র দেশগুলোকে। অথচ কার্বন নিঃসরনের জন্য দায়ী উন্নত দেশের কার্যক্রম। উন্নত দেশগুলোর জনসংখ্যা সারাবিশ্বের তুলনায় এক-পঞ্চমাংশ। অথচ তারাই পৃথিবীর অর্ধেক কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে। পরিস্থিতি বিবেচনায় বসবাস উপযোগী পৃথিবী গড়ে তুলতে বনায়নের কোন বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক।

গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মহসিন আলী জানান, জাতিসংঘের আয়োজনে ১৯৮৬ সাল থেকে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার দিবসটি পালন করা হয়। দেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫ অনুযায়ী বাসস্থান পাওয়া জনগণের মৌলিক অধিকার। এছাড়াও এসডিজি গোলের ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ ও কম খরচে বস্তিবাসির উন্নয়ন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এটি সরকারের কাজ নয় বা তা সম্ভবও নয়। স্থানীয় সরকার শাখা, কর্পোরেট এজেন্সি, সমিতির মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, শতকরা ২৪ শতাংশ কার্বনডাই-অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে উৎপাদনমুখী কলকারখানা থেকে। তাই পোড়া ইটের বিপরীতে কংক্রিটের ব্লক ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। এমনকি ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি কাজে পোড়ানো ইটের বিপরীতে কংক্রিটের ব্লক ব্যবহার করার সিধান্ত নেয়া হয়েছে। কারন ইটভাটাগুলোর কারনেই অনেক বৃক্ষ নিধন করতে হয়। এটির টেকসই সমাধান করতে পারলে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে।

এসব বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত সরকার বলেন, গ্রীনহাউজ প্রক্রিয়া কমানোর ফলে সারাবিশ্বে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারলে ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণের পরিমাণ সহনশীল মাত্রায় নেমে আসবে। এছাড়াও পরিবহন খাতে জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য উৎস ও ভাটায় পোড়া ইটের বদলে কংক্রিটের ব্লক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুকিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রুহুল আমিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলামসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

আরপি/এসআর-২১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top