রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০

ময়দার হপার পরিস্কার করতে গিয়ে কিশোরের মৃত্যু


প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০১

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১১:৪০

ফাইল ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অটো রাইস মিলের ময়দার হপার পরিস্কার করতে গিয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মেশিন বন্ধ থাকা অবস্থায় কাজ শুরু করলেও অসতর্কতায় হঠাৎ কেউ একজন মেশিনের সুইচ অন করে দিলে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৯টায় সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহার এরশাদনগর এলাকায় অবস্থিত ব্রাদার্স অটো রাইস মিলে এ দূর্ঘটনা ঘটে বলে মিল শ্রমিকরা জানিয়েছেন।

নিহত ওই কিশোর আতাহার-জামাইপাড়া গ্রামের মৃত রাসেল আলী ও মোসা. আকতারা বেগমের ছেলে মো. রাজু (১৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকালে ব্রাদার্স অটো রাইস মিলের ময়দা মিশ্রণের হপার পরিস্কার করতে হপারের ভেতরে প্রবেশ করে কিশোর রাজু। এরপর হঠাৎ করেই মিলের কোন একজন শ্রমিক হপারের সুইচ অন করে দিলে হপার চালু হয়ে যায় এবং রাজু ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করে।

অটো রাইস মিলের প্রহরী নূরুল ও অন্যান্য শ্রমিকরা বলেন, সকলের অগচরে হঠাৎ করে কেউ সুইচ দিয়ে দেয়। আর এতেই মিলের হপারে ঢুকে থাকা রাজু সাথে সাথেই মারা যায়। ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই সে মারা যায়। তবে এই ঘটনার পরপরই মিলের অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।

ইউপি সদস্য মাইনুল ইসলাম মুকুল বলেন, ছেলেটির বাবা মারা গেছে। তাই পরিবারের অভাবের তাড়নায় গত ১ বছর ধরে মিলে কাজ করে। ঘটনার ঘটে যাবার সাথে সাথেই ছেলেটিকে মিলের হপার থেকে বের করা হয়। কিন্তু তার আগেই তার মৃত্যু হয়।

তবে এ বিষয়ে ব্রাদার্স অটো রাইস মিলের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আর মিল মালিক সাদিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

তবে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার চিকিৎসক রাজু জানান, হাসপাতালে ভর্তির অনেক আগেই রাজুর মৃত্যু হয়েছিল। পরে মরদেহ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, ব্রাদার্স অটো রাইস মিলের ময়দার হপারে এক কিশোরের মৃত্যুর সংবাদ পাবার পরপরই উপ-পরিদর্শক (এসআই) রনি দাসসহ একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তবে তারা পৌঁছানোর আগেই শ্রমিকরা রাজুর মরদেহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখান থেকে মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং এটা একটা অনাকাংক্ষিত ঘটনা বলেই মনে হয়েছে। তবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কোন অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ অবশ্যই তা সঠিক তদন্ত করে দেখবে বলেও জানান ওসি মোজাফফর।

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top