রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০

দেশের প্রথম করোনামুক্ত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ


প্রকাশিত:
১২ মার্চ ২০২১ ০০:৩১

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২১ ১৬:৫৮

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ২০ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরমোহনপুর এলাকায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রায় ১১ মাস পর করোনামুক্ত হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। সে হিসেবে এটিই দেশের প্রথম করোনামুক্ত জেলা।

সোমবার (০৮ মার্চ) সবশেষ রোগীর করোনা নেগেটিভ প্রতিবেদন আসার মধ্য দিয়ে জেলাটি করোনামুক্ত হয়। জেলার পাঁচ উপজেলায় এখন করোনা রোগী নেই। বুধবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী।

ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, গত দুদিনে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। নতুন করে কেউ যাতে আক্রান্ত না হয়, সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। আমরা আর করোনায় আক্রান্ত হতে চাই না। করোনামুক্ত থাকতে চাই। আমার জানা মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ দেশের প্রথম করোনামুক্ত জেলা।

সিভিল সার্জন বলেন, জেলায় প্রতিদিন করোনার টিকা গ্রহণকারী ও টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধনকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। সোমবার পর্যন্ত জেলার পাঁচ উপজেলায় অগ্রাধিকার প্রাপ্তরাসহ টিকা নিয়েছেন ২৭ হাজার ১০৯ জন। এদিন দুপুর পর্যন্ত জেলায় নিবন্ধন করেছেন ৩৫ হাজার ৪৭৩ জন। এ পর্যন্ত সদর উপজেলা ১১ হাজার ৯২৪, শিবগঞ্জে সাত হাজার ৭৮৬, গােমস্তাপুরে চার হাজার ১১১, নাচোলে এক হাজার ৫৬৮ ও ভােলাহাট উপজেলায় এক হাজার ৭২০ জন ব্যক্তি করোনার টিকা নিয়েছেন।

সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী আরও বলেন, জেলায় প্রথম চালানে ৪৮ হাজার ডোজ টিকা এসেছে। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮২৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮১০ জন, যা ৯৮ দশমিক ৩ শতাংশের বেশি। বাকি ১৪ জন মারা গেছেন। এছাড়া জেলা থেকে এখন পর্যন্ত সাত হাজার ১৪২ জনের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। সবার নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। ২০ ফেব্রুয়ারি জেলায় সর্বশেষ একজন শনাক্ত হওয়ার পর টানা ১৯ দিন জেলায় নতুন করে কেউ শনাক্ত হয়নি।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।

করোনার সংক্রমণ যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়। তবে কয়েক ধাপ বাড়ানোর পর ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ছিল। সেই ছুটি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

তবে গত দুই মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ধারা নিম্নমুখী থাকলেও কয়েকদিন ধরে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ১৮ জন। এর আগে সর্বশেষ ১০ জানুয়ারি একদিনে এক হাজার ৭১ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এ পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ১০৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও সাতজন। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ৪৯৬ জনে। বুধবার (১০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরপি / এমবি-৮



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top