রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১

গুরুদাসপুরে পথে পথে লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা


প্রকাশিত:
১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৩৮

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৬

লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা রতন আলী

নাম রতন আলী। বয়স ২৮ বছর। পেশায় ফেরিওয়ালা হলেও বিজয়ের মাসে তাঁর পরিচয় ভিন্ন, বিজয়ের মাসে তিনি লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা। সারা বছর তিনি নানা রকম পণ্য ফেরি করে বিক্রি করলেও ডিসেম্বর ও মার্চ মাসে তিনি ফেরি করে পতাকা বিক্রি করেন।

এই কাজে তিনি নাকি অন্যরকম এক তৃপ্তি পান। রতন এর মতো কয়েকজন পতাকার ফেরিওয়ালার সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছেন সংবাদ প্রতিবেদক মেহেদী হাসান তানিম।

গাড়িতে, বাড়ির ছাদে, বারান্দায়, রিকশায় এমনকি দুই চাকার মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের সামনে দুলছে লাল-সবুজ। এই লাল-সবুজ দোলার মাঝে আছে এক অন্য সৌন্দর্য, আছে অহংকারের গল্প। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে সামনে রেখে নাটোরের গুরুদাসপুরে চলছে সেই সৌন্দর্য প্রদর্শনী।

বিজয় দিবস সামনে রেখে গুরুদাসপুরে পতাকার উৎসব চলছে, সেই পতাকার ফেরিওয়ালারা জানালেন, ডিসেম্বরের শুরু থেকে পতাকা বিক্রির ধুম পড়ে। চলবে বিজয় দিবস পর্যন্ত। এই সময়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পতাকা বিক্রি করছেন এক শ্রেণির মৌসুমী বিক্রেতা।

গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের মাঝ পাড়া এলাকার পতাকা বিক্রেতা রতন আলী জানালেন, তিনি সারাবছর নানা রকম পণ্য ফেরি করে বিক্রি করলেও ডিসেম্বর ও মার্চ মাসে তিনি ফেরি করে পতাকা বিক্রি করেন। রাতে পতাকা কিনে তিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফেরি করে পতাকা বিক্রি করেন।

তিনি জানান, তার কাছে পাওয়া যায় ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০ টাকার পতাকা। ৪০০ টাকার পতাকার আকার বেশ বড় আর ১০ টাকার পতাকা কাগজের হাতপতাকা। রতন জানান, দৈনিক কয়টা পতাকা বিক্রি করেন সে তথ্য তিনি না জানাতে পারলেও দৈনিক ১৫শ’ থেকে ১৭শ’ টাকার পতাকা বিক্রি করেন। দাম নির্দিষ্ট না করে যার কাছ থেকে যেমন টাকা নেয়া যায় সে হিসেবে তিনি পতাকা বিক্রি করে থাকেন।

তিনি আরো জানান, বিদেশি নাগরিকরা বেশি টাকা দিয়ে পতাকা কেনেন। আর এই মৌসুমি ব্যবসায় ভালোই লাভ। এছাড়া তিনি এক অন্যরকম তৃপ্তি পান বলে এই কাজ করেন দুই মৌসুমে।

বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের সামনে পতকা বিক্রি করা ১৯ বছর বয়সী স্বপন জানালেন, আগে তিনি হোটেলে কাজ করতেন। ডিসেম্বরে বেশি লাভের আশায় এ ব্যবসায় নেমেছেন। স্বপন পতাকা বিক্রি করেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার স্কুল কলেজের গেটে কারণ হিসাবে জানালেন, এসব এলাকায় পতাকার দাম বেশি পাওয়া যায়।

স্বপনের সাথে কথা বলার সময় বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরেফিন শ্রাবণী দু’টি পতাকা কিনলেন। তিনি জানালেন, একটি বিজয় দিবসের জন্য। অন্যটি বাসার ছাদে উড়ানোর জন্য। আমরাও চাই গোটা বাংলাদেশ বিজয়ের মাসে ছেয়ে যাক আমাদের গর্বিত পতাকায়। আর নিজেদের স্বপ্ন বুনুক পতাকার ফেরিওয়ালারা।

 

আরপি/ এমএএইচ-১০



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top