রাজশাহী সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


মেসভাড়ার সর্বশেষ সিদ্ধান্তে যা জানালো মেস মালিকরা


প্রকাশিত:
৭ জুন ২০২০ ০০:৪৬

আপডেট:
৭ জুন ২০২০ ০১:৪৯

রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের মেসভাড়া নিয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। শুক্রবার এক সাধারণ সভায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আজ শনিবার মেস মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েতুর রহমান রাজশাহী পোস্ট'র সঙ্গে খোলামেলা আলাপকালে আনুষ্ঠানিকভাবে সেসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এছাড়াও মেসভাড়া নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার নানাদিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন মেস মালিকদের প্রতি তাদের নির্দেশনা। বলেছেন শিক্ষার্থীদের ভাড়া নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিপত্তি সৃষ্টি হওয়ার কারন।

রাজশাহী পোস্ট : শিক্ষার্থীদের মেসভাড়া মওকুফের দাবির বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কি ?

এনায়েতুর : আসলে তারা কি বিবেচনায় এমনটা দাবি করছে এখনো পর্যন্ত আমরা বুঝতে পারছিনা। তারা মেস মালিকদের সঙ্গে বসবে, কন্সিডারের জন্য তো বলবে। কিন্তু তারা আমাদের সাথে কোন কথাই বলেনি। আমাদের সাথে না বসে ফেসবুকে গ্রুপ করে দাবি করছে।

রাজশাহী পোস্ট : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক আগেই ভাড়াটিয়াদের ভাড়া মওকুফের জন্য বলেছিলেন। শিক্ষার্থীরাও তো তার অন্তর্ভুক্ত ?

এনায়েতুর : জ্বী, সেই বক্তব্য শুনেছি। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বলেছিলেন, 'আপনারা বাসা ভাড়া যতদিন পারেন মওকুফ করেন।' উনি কিন্তু এটা আদেশ করেননি বা কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। মানবিক দিক থেকে তিনি বলেছিলেন।

তাছাড়া মার্চ মাসে তারা মেসে ছিল। এতদিন বিদ্যুৎ বিল এসেছে। এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল, স্টাফদের ভাড়া দিতে হয়েছে। মে মাসে ঈদের বোনাসসহ দিতে হয়েছে। এখন জুন মাসে তারা ছাড় পাবার যোগ্য। প্রত্যেকটা মেস ছাড় দিবে।

কিন্তু তারা ছাড়ের জায়গাটা ধরে রাখতে পারেনি। ভাড়া মওকুফের দাবিতে যে ধরনের অপমান-অপদস্থ করে কথা বলেছে, ‘তুই-তাকার’ শুনতে হয়েছে, ‘মগের মুল্লুক’ পর্যন্ত শুনতে হয়েছে। যে পাওনাদার সে তো টাকা চাইবেই।

রাজশাহী পোস্ট : কোনো কোনো মেস মালিক ভাড়ার জন্য হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে আপনি কি বলবেন ?

এনায়েতুর : এমনটা হতে পারে। সব মেস মালিক তো আর একরকম না। তবে বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে অবশ্যই সমিতি থেকে আমরা ব্যবস্থা নিবো। তবে মালিকদের বলছি সহানুভূতি দেখাতে। শিক্ষার্থীরা ছোট মানুষ ভুল করতেই পারে। তাই বলে তাদেরকে কোনো ধরণের হুমকি-ধামকি দেয়া যাবেনা।

রাজশাহী পোস্ট : শুক্রবার আপনাদের সভায় সর্বশেষ কি কি সিদ্ধান্ত নেয়া হলো ?

এনায়েতুর : প্রথম সিদ্ধান্ত, আমরা শিক্ষার্থীদেরকে ছাড় দেব। যারা একেবারে দরিদ্র পরিবারের তাদেরকে মানবিক দিক থেকে আমরা ছাড় দেব।

আর দ্বিতীয়ত, এই মুহূর্তে কেউ মেসভাড়া বাড়াতে পারবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাষ্ট্রীয় বিধি-নিষেধ সবকিছু মেনে মালিকরা চাইলে মেস খুলতে পারবে।

সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আমাদের কথা হলো, তাদের কোনো অভিযোগ থাকলে, যদি কিছু বলার থাকে আমি তাদের সামনাসামনি হবো। আমাদের সমিতি নতুন, ভুলভ্রান্তি হতে পারে।

তবে আমাদের কষ্টটা এখানেই, শিক্ষার্থীদেরকে আমরা অভিভাবকের মতো লালনপালন করি, সুখেদুঃখে পাশে থাকি। আমরা তাদের বাবার মতো, কারো কারো বড় ভাইয়ের মতো। তারা আমাদের গালিগালাজ করবে কেন ?

ভাড়া মওকুফ নিয়ে অন্তত ২০০ স্ক্রিনশট আছে আমার কাছে। তারা কি ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছে ? এগুলো নিয়েই মেস মালিকদের ক্ষোভ। শিক্ষার্থীরা এরকম আচরণ করবে কেন?

 

আরপি/আআ-১০



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top