রাজশাহী বুধবার, ৯ই অক্টোবর ২০২৪, ২৫শে আশ্বিন ১৪৩১

হাজার যুগলকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়েছেন তুফান ঘটক


প্রকাশিত:
৬ জুন ২০২১ ০২:১৯

আপডেট:
৬ জুন ২০২১ ০৭:৪৭

ছবি: সাইদুর রহমান (তুফান ঘটক)

নারী এবং পুরুষের দাম্পত্য জীবন শুরু হয় বিয়ের মাধ্যমে। আর এই বিয়ে সংঘটন করাটা সহজ ব্যাপার নয়। শারীরিক গঠন বা গায়ের রং, সাংসারিক আয়-উন্নতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান, বংশমর্যাদা এই সবকিছু ‍মিলিয়ে পাত্র-পাত্রী মিল করা বেশ দুঃসাধ্য একটা ব্যাপার। দুঃসাধ্য কাজটি ৩২ বছর ধরে করছেন রাজশাহীর তুফান ঘটক।

নগরীর সব মানুষের মুখে মুখে তুফান ঘটক পরিচিত নাম হলেও তার আসল নাম সাইদুর রহমান। ছোটবেলা থেকেই চঞ্চল প্রকৃতির হওয়ায় বন্ধুরা দুষ্টামি করেই তুফান বলে ডাকত। তিন দশক আগে এক যুগলকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করান তিনি। সেই থেকেই বনে গেলেন তুফান ঘটক।

গত তিন দশকে প্রায় হাজার যুগলকে বসিয়েছেন বিয়ের পিঁড়িতে। তবে সঠিক হিসেব তুফান ঘটকের কাছে না থাকলেও পরিসংখ্যানটা আরো বেশি হবে। আর করোনাকালে বিয়ে চাপও বেড়েছে অনেকাংশেই।

নগরীর কলাবাগান এলাকায় তাঁর চেম্বারে গিয়ে দেখা গেল, ঘটকের টেবিলটি তাঁর ভিজিটিং কার্ড ও পাত্রপাত্রীদের ফাইলে ঠাসা। দেয়ালে নিয়মকানুন লেখা। এলাকা ভেদে পাত্র-পাত্রীদের এন্ট্রি ফিও আলাদা। নগরীর পাত্র-পাত্রীর জন্য এন্ট্রি ফি গুনতে হবে ৩ হাজার টাকা।

তুফান ঘটকের সামনে বসে ছিলেন ত্রিশ বয়সী এক পাত্রী। সঙ্গে এসেছেন ভাবি। মেয়েটির সঙ্গে মেলে এ রকম ৬ থেকে ৭ টি ছেলের ছবি টেবিলের ওপরেও রেখে বায়স্কোপের ধারাভাষ্যকারের মতো তাদের সম্পর্কে বলে গেলেন তিনি। বসে থাকতে থাকতে তাঁর পেশার ধরনটা বোঝা গেল।

এসময় তুফান ঘটক বলেন, প্রচুর লোকজন আসে বিয়ে সাদী দেয়। মাসে একটা হয়, দুইটা হয়, তিনটা হয়, আবার কোন মাসে একটাও হয় না। এটা খুব কঠিন কাজ, ম্যাচিং করা টাফ হয়ে যায়।

তিন দশকে ঘটকালির সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার গণা নাই তবে গড়ে প্রতি মাসে দুই-তিন টা হবে। এছাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে লকডাউনে বেশি বিয়ে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমার কাছে পাত্রী অনেক আছে তবে পাত্র সংখ্যায় কম, পাত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন। পাত্রীর সংখ্যায় প্রচুর হওয়ায় পাত্রী পক্ষের থেকে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা কন্টাক্ট করা হয়। এছাড়া পাত্র পক্ষের থেকে নেওয়া হয় ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তবে টাকার অঙ্কটা পাত্র-পাত্রী ভেদে আলাদা।

আরপি/ এসআই



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top