রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী পোস্টে সংবাদ প্রকাশের পর

ভোলাহাটে মহানন্দা নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শনে পাউবো


প্রকাশিত:
১৬ জুলাই ২০২০ ২৩:৫৯

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৭

ভোলাহাটে মহানন্দা নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শনে পাউবো কর্মকর্তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুন্সিগঞ্জ থেকে পোল্লাডাঙ্গা ঘাট এলাকায় নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাঁধ একটু একটু করে দেবে গিয়ে সিসি ব্লক ও ইটের ম্যাট্রেসিং নদীতে বিলীন হচ্ছে।

সমস্যাটি তুলে ধরে 'ভোলাহাটে হুমকির মুখে নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধ' শিরোনামে গত ১৩ জুলাই ‘রাজশাহী পোস্টে’ সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নজরে এলে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) মহানন্দা নদীর ডান তীরের সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধের ৩১০০ মিটার এলাকা পরিদর্শন করেছেন বোর্ডের কর্মকর্তারা। 

উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ঘাট হতে পোল্লাডাঙ্গা পর্যন্ত ৩১০০ মিটার নদীর তীর পরিদর্শন করেন পাউবো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান ৷ উপস্থিত ছিলেন ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শাহনাজ খাতুন ৷

উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান বলেন, এখন বন্যার পানিতে নদী পরিপূর্ণ। বন্যার পানি কমে গেলে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ঘাট হতে পোল্লাডাঙ্গা পর্যন্ত ৩১০০ মিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ ১৯৮৯-১৯৯০ হতে ২০০০-২০০১ পর্যন্ত সময়ে ১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ইট ম্যাট্রেসিংয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। যার মধ্যে সীমান্ত নদী সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প (৩৫টি উপ-প্রকল্প, ১ম পর্যায়, পার্ট-এ এবং বি) এর আওতায় পোল্লাডাঙ্গা বিজিবির সীমান্ত ফাঁড়ি সংলগ্ন মহানন্দা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ উপ-প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা টাকা ব্যয়ে ২০০৩-০৪ইং হতে ২০০৮-০৯ইং পর্যন্ত সময়ে ১১৬২ মিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ সিসি ব্লকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। যা গত ১২ বছরের বন্যায় একটু একটু করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ১০০০ মিটার ইট ম্যাট্রেসিং কাজও।

মুন্সিগঞ্জ ঘাটের মাত্র ১০০ মিটার উজানে ভারত হতে ট্যাঙ্গন নদী মহনন্দা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। ফলে মহানন্দা ও ট্যাঙ্গন নদীর মিলিত প্রবাহ উল্লিখিত বাস্তবায়িত কাজের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যা বন্যার সময় ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

বাস্তবায়িত নদী তীর সংরক্ষণ কাজ দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর কোনো মেরামত বা সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে সীমান্তবর্তী এ প্রকল্পটি হুমকির মুখে পড়েছে। বন্যা মৌসুমে পানির প্রবল তোড়ে সম্পাদিত কাজের লাঞ্চিং এ্যাপ্রোন দেবে গেছে ৷ বর্তমানে স্লোপে ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং ব্লাকগুলো নদীতে বিলীন হচ্ছে।

অবিলম্বে লাঞ্চিং এ্যাপ্রোন শক্তিশালী করে মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন হয়েছে। মেরামত বা সংস্কার কাজ করা না হলে ভেস্তে যাবে পুরো প্রকল্প, হুমকির মুখে পড়বে বিজিবি ক্যাম্পসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনাসহ আশপাশের গোটা এলাকা। বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে একটি উপজেলার বৃহৎ এলাকাকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছেন এলাকাবাসি।

আরপি/ এএন-৯



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top