রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

ভোলাহাটে হুমকির মুখে নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধ


প্রকাশিত:
১৩ জুলাই ২০২০ ১৯:৩৯

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৩৯

ভোলাহাট মহানন্দা নদীর বন্যা রক্ষা বাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া ডান তীর

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুন্সিগঞ্জ থেকে পোল্লাডাঙ্গা ঘাট এলাকায় নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাঁধটি একটু একটু করে দেবে গিয়ে সিসি ব্লক ও ইটের ম্যাট্রেসিং নদীতে বিলীন হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নদী সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের (১ম পর্যায়) মহানন্দা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ উপ-প্রকল্পের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ঘাট হতে পোল্লাডাঙ্গা পর্যন্ত ৩১০০ মিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ ১৯৮৯-১৯৯০ হতে ২০০০-২০০১ পর্যন্ত সময়ে ১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ইট ম্যাট্রেসিংয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। যার মধ্যে সীমান্ত নদী সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প (৩৫টি উপ-প্রকল্প, ১ম পর্যায়, পার্ট-এ এবং বি) এর আওতায় পোল্লাডাঙ্গা বিজিবির সীমান্ত ফাঁড়ি সংলগ্ন মহানন্দা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ উপ-প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা টাকা ব্যয়ে ২০০৩-০৪ইং হতে ২০০৮-০৯ইং পর্যন্ত সময়ে ১১৬২ মিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ সিসি ব্লকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। যা গত ১২ বছরের বন্যায় একটু একটু করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ১০০০ মিটার ইট ম্যাট্রেসিং কাজও।

মুন্সিগঞ্জ ঘাটের মাত্র ১০০ মিটার উজানে ভারত হতে ট্যাঙ্গন নদী মহনন্দা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। ফলে মহানন্দা ও ট্যাঙ্গন নদীর মিলিত প্রবাহ উল্লিখিত বাস্তবায়িত কাজের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যা বন্যার সময় ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

বাস্তবায়িত নদী তীর সংরক্ষণ কাজ দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর কোনো মেরামত বা সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে সীমান্তবর্তী এ প্রকল্পটি হুমকির মুখে পড়েছে। বন্যা মৌসুমে পানির প্রবল তোড়ে সম্পাদিত কাজের লাঞ্চিং এ্যাপ্রোন দেবে গেছে এবং বর্তমানে স্লোপে ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং ব্লাকগুলো নদীতে বিলীন হচ্ছে। অবিলম্বে লাঞ্চিং এ্যাপ্রোন শক্তিশালী করে মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন হয়েছে।

বর্তমানে মেরামত বা সংস্কার কাজ করা না হলে ভেস্তে যাবে পুরো প্রকল্প, হুমকির মুখে পড়বে বিজিবি ক্যাম্পসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা এবং আশপাশের গোটা এলাকা। বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে একটি উপজেলার বৃহৎ এলাকাকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছেন এলাকাবাসি।

উল্লেখ্য, গত বছর বন্যার সময় বাঁধের বেশ কিছু জায়গা দেবে এলাকা প্লাবিত হয়ে যাওযার আশঙঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেশ তোড়জোড় লক্ষ্য করা যায়। ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে বস্তা ফেলে অস্থায়ী কাজ করলেও পরবর্তীতে তাদের আর কোন ভূমিকা দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাইদুল ইসলামের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

আরপি/এএন-৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top