রাজশাহী সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১

সরকারি কর্মচারির আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল, এলাকায় চাঞ্চল্য


প্রকাশিত:
১৩ আগস্ট ২০২৩ ০৫:২০

আপডেট:
৬ মে ২০২৪ ১৫:৩৪

ফাইল ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় সরকারি কর্মচারি ও রহনপুর আল মদিনা ক্লিনিক মালিকের সাধে এক নারীকর্মীর অবৈধ মেলামেশার অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর সুভানগর এলাকার মৃত্যু আব্দুর রশিদের ছেলে আমিনুল ইসলাম জনি। তিনি রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার বাঁধাইড় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট পদে কর্মরত।

সম্প্রতি 'দৈনিক সংবাদ প্রতিক্ষণ' নামে ফেইসবুক পেইজে ভিডিওটি প্রথম প্রকাশ করে। মুহূর্তের মধ্যে ভিডিওটি সবার মাঝে চলে যায়। এ নিয়ে সর্বমহলে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পরে মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে রয়েছেন সরকারি কর্মচারী।

পাঁচ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের আপত্তিকর ভিডিওটিতে দেখা গেছে, নারীকর্মীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় যে কক্ষটি দেখা যাচ্ছে সেটি রহনপুর আল মদিনা ক্লিনিকের তৃতীয় তলার ডাঃ ইস্তিয়াক আহমেদের চিকিৎসা কক্ষ। এ কক্ষে একটি ছোট খাটসহ পরিপাটি করে সাজানো। ভিডিওটি দেখে বুঝা যাচ্ছে সরকারি এ কর্মচারী তার নিজ মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন নারীকর্মীর অজান্তেই।

জানা গেছে, তিনি সরকারি কর্মচারি (ফার্মাসিস্ট) হয়ে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন। এছাড়া সরকারি চাকরি নীতিমালা বহির্ভূত ভাবে তিনি রহনপুর আল মদিনা ক্লিনিকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসেবে কর্মরত। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আল মদিনা ক্লিনিকে এলাকার একাধিক দরিদ্র নারীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে ক্লিনিকের তৃতীয় তলার ঐ কক্ষে চলে অবৈধ মেলামেশা। এমনই শিকার হয়েছেন দরিদ্র পরিবারের চাকরি নেয়া এক নারীকর্মী। ব্লাকমেইল করার জন্য আপত্তিকর অবস্থার নিজ মোবাইলে ভিডিও ধারন করে রাখেন জনি। এমন একটি ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরও নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ করেন।

সরকারি চাকরি ১৭ (১) নম্বর আচরণ বিধিমালানুযায়ী আমিনুল ইসলাম ক্লিনিকে ব্যবসা করতে পারেন না। এছাড়া নিজে একজন ফার্মাসিস্ট হয়ে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে আল মদিনা ক্লিনিকে চিকিৎসা প্রদান করেন। এতে এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে আমিনুল ইসলাম জনির মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তার পরিচালিত ক্লিনিকের শেয়ার পাটনার বলেন, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে ক্লিনিকে আসছেন না তিনি ।

তানোর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুনসুর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভিডিও ভাইরাল হয়েছে বিষয়টা আমি জানি না। নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা প্রমাণিত হলে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হতে পারে। অনৈতিক কাজে জড়িয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।

উপজেলা মেডিকেল অফিসার মানজুরা মুঞ্জরা বলেন, এটা আমার জানা নাই। তিনি অসুস্থতার দরখাস্ত দিয়ে ৪ দিনের ছুটি নিয়েছেন। আমি বিষয়টা জানার চেষ্টা করবো। প্রমানিত হলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

রাজশাহী জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক ডাঃ কস্তুরী আমিনা কুইন বলেন, তিনি ডাক্তার লিখতে পারবেন না। উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ব্যবসা করতে পারবেন না। আপত্তিকর ভিডিওর বিষয়ে উপজেলা মেডিকেল অফিসারের সাথে কথা বলতে বলেন।

 

 

 

আরপি/এসআর-০৯



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top