রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০

ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদ


প্রকাশিত:
২৬ নভেম্বর ২০২১ ০৭:৩৫

আপডেট:
২৬ নভেম্বর ২০২১ ০৯:৩৮

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ কালুর দুই ছেলে বাম থেকে মোঃ রুহুল আমিন ও শামীম রেজা মিলন।

আসন্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার চর নারায়ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাড. মোঃ আলমগীর কবিরকে নিয়ে করা প্রতিবেদনে “মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস সামাদ কালুর যে বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে দাবি করে করেছেন তার ছেলেরা।

গত ২১ নভেম্বর (রোবববার) “দৈনিক আমাদের কণ্ঠ” নামে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান তারা।

তারা জানান, আমাদের বাবার নামে যে বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। উক্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না, এবং এমন কোন বক্তব্য তিনি দেননি।

তারা জানান, তিনি অসুস্থ, তিনি এসব বিষয়ে কোন প্রকার কোন বক্তব্য প্রদান করেননি। যে বা যারা এই সংবাদটি প্রকাশ করেছেন বা করিয়েছেন তারা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রকাশ করেছেন। যে বা যারা এই সংবাদটি প্রকাশ করেছেন তাদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি। সেইসাথে এই সংবাদের কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন তার দুই ছেলে মোঃ রুহুল আমিন ও শামীম রেজা মিলন।

এর আগে সেই প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত বক্তব্য ছিলো- আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত চর নারায়নপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে রাজাকার পুত্র আ.লীগের প্রার্থী হবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আর এতে ত্যাগী আ.লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে, দলের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগে রাজাকার বা বিতর্কিত ব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধু’র আ.লীগ থেকে এবার মনোনয়ন পাবেন না। পদ্মা নীদর ভাঙ্গনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ সদর উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়ন।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বেশীর ভাগ সময় এই ইউনিয়নে রাজাকার আশির্বাদপুষ্ট বিএনপি-জামায়াত সমর্থিতরা চেয়ারম্যান হয়েছেন। কিন্তু এবার এই ইউনিয়নের নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় আবারো চিহ্নিত রাজাকার মৃত হুমায়ন কবির (হুমায়ন দারোগা)’র ছেলে বিএনপি’র আদর্শের অনুসারী অসুস্থ মোঃ আলমগীর কবির আ.লীগের মনোনয়ন পাবার জন্য মরিয়ে হয়ে উঠেছেন।

নারায়নপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ কালু জানান, আলমগীর কবিরের পিতা চিহ্নিত রাজাকার হুমায়ন দারোগা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এলাকার অনেকের বাড়ী-ঘর পোড়ানো, লুটপাট ও অত্যাচার চালিয়েছিল। তার পুত্র বিএনপি’র আদর্শের। বর্তমানে আলমগীর কবির এখন অন্যের সহায়তা ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না।

আর আলমগীর কবির ২০১১ সালে চেয়ারম্যান থাকাকালীন এলাকায় ২টি হত্যাকান্ড, বোমাবাজীর ঘঁাটিসহ সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেছিলেন। তার সময়ে অবহেলিত এ ইউনিয়নে রাস্তা-ঘাট, স্কুল কলেজের উন্নয়ন হয়নি। আবারো এবার আ.লীগের প্রার্থী হলে তা হবে আত্মঘাতি বলে মনে করেন অনেক নেতা-কর্মীরা। এই বক্তব্যকে ঘিরে চলছে তার ছেলেদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা এই বক্তব্য কোনোভাবেই মানতে পারছেন না বলে জানা তারা।

এছাড়া এদিকে এই ইউনিয়নে এবার নির্বাচন করবেন বলে এলাকায় গণসংযোগ করছেন বেড়াচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শরিয়তুল্লাহ লাহু, শহিদুল ইসলাম শহীদ, কামাল উদ্দিন হোদা ও বিএনপি প্রার্থী মনোনিত আজিম আলী।

 

আরপি/ এমএএইচ-১৪

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top