রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার ফলিমারী বিল এলাকায় গণডাকাতি

র‌্যাবের পর পুলিশের জালে আরও তিন ডাকাত, লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার


প্রকাশিত:
২৬ আগস্ট ২০২১ ২২:০৪

আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২১ ২২:১৫

ছবি: লুন্ঠিত মালামাল

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার ফলিমারী বিল এলাকায় সোমবার রাতে কয়েকটি নৈশকোচে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় আরো ৩ ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। তবে র‌্যাবের পরে এবারের সাফল্য জেলা পুলিশ বাহিনীর।

আটককৃতরা হলো- জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বালিয়াদিঘি মধ্যবাজার নয়াগ্রামের আপ্তেনূর বেগম ও ভল্লুর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম (৪০), একই এলাকার গুধী ও মৃত সমশের আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম ওরফে আনু গুরু (৪৫) এবং শান্তির মোড় হামিদ নগর গ্রামের রেবিনা বেগম ও মোফাজ্জল হকের ছেলে তাজেল আলী (৩৫)।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব জানান, গত সোমবার দিবাগত রাতে জেলার ভোলাহাট উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা কয়েকটি যাত্রীবাহি নৈশ কোচে প্রায় ঘন্টাব্যাপি ডাকাতি সংঘটিত হয়। বিষয়টি সেইদিনই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় তোলার আগেই ভোলাহাট থানার পুলিশ সদস্যরা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে সেখানে অতিদ্রুত উপস্থিত হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেখানে পৌঁছানোর আগেই ডাকাত দল তাদের সাথে থাকা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাসগুলোতে ভাংচুর চালিয়ে যাত্রীদের মারধর করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

পরে ভোলাহাট থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বুধবার ওই এলাকাসহ জেলাব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ওই ৩ ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা পলাতক ডাকাতদের সাথে এই ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির সময় লুন্ঠিত ১২টি মোবাইল ফোন সেট, নগদ ১৯ হাজার ৫ শত টাকা, স্বর্ণালংকারসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৫টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আরো লুন্ঠিত মালামালসহ অন্যান্য ডাকাতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার আবদুর রকিব।

এর আগে গতকাল বুধবার (২৫ আগস্ট) একই ঘটনায় আরও ৪ ডাকাতকে আটক করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। এনিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১৫/১৬ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ৭ জন ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে প্রশাসন। এ ঘটনায় ভোলাহাট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব আলম খাঁন, ডিবি ওসি আলহাজ্ব বাবুল উদ্দিন সরদার, ভোলাহাট থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

আরপি/এসআর-০৮



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top