রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪, ৪ঠা বৈশাখ ১৪৩১

ভোলাহাটে সরকারী কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় গ্রেফতার দুই


প্রকাশিত:
৭ মে ২০২১ ০৪:৪৫

আপডেট:
১৬ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩৯

ছবি: প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে সরকারী কাজে বাধা দেয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মেহেদী ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তাঁতীপাড়া মৌজার হাল দাগ নং ৩০০ জমির পরিমাণ ৩.১১ একর সম্পত্তি জেলা জজ আদালত ১২/২০২১ মিস আপিল মোকদ্দমায় সরজমিন পরিদর্শন করেন ৫ মে দুপুর ১টার দিকে। সরজমিন পরিদর্শন কাজে সহযোগিতার জন্য মামলার বাদি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মেহেদী ইসলাম ও স্বাক্ষীগণ উপস্থিত হলে উপজেলার চরধরমপুর গ্রামের আসামী মোশারফ হোসেন, ইন্টু, এরফান, সহিমুদ্দিন ফজল আলী মিলে ৪ নং স্বাক্ষী চরধরমপুর গ্রামের ভোলাহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, ৫ নং স্বাক্ষী চরধরমপুর গ্রামের আব্দুস সবুরকে এলোপাথাড়ি ভাবে কিলঘুষি ও লাথি মারে।

আসামীর হাতে থাকা লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে সবুর রক্তাক্ত জখম হয়। আসামী আব্দুস সামাদ, বরজাহান, জিল্লু, আনারুল ৬ নং স্বাক্ষী চরধরমপুর গ্রামের অন্তরা বেগমকে এলোপাথাড়ি ভাবে কিলঘুষি ও লাথি মারে।

এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে বাদি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম তাঁর গাড়ীর চালককে গাড়ী চালাতে বললে আসামীরা গাড়ীর সামনে বাইসাইকেল ফেলে গতি রোধ করে। গাড়ির গতিরোধ করে আসামী উপজেলার চরধরমপুর গ্রামের মোশারফ হোসেন, সাদিকুল ইসলাম, বজলুর রশিদ, আজিজুল হক, ইদ্রিস আলীগণ মিলে অন্যান্য আসামীদের হুকুম দিয়ে সাদা (ফাঁকা) স্ট্যাম্পে সই স্বাক্ষর করে নেয়। তাদের হুকুম পাওয়ার সাথে সাথে আসামী জাকির হোসেনের হাতে থাকা সাদা কাগজ ও কলম নিয়ে এসে বাদি ও অন্যান্য স্বাক্ষীদের সই স্বাক্ষর করতে বলে।

বাদি সই স্বাক্ষর করতে রাজি না হলে আসামী মোশারফ হোসেনের হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে গাড়ীর গ্লাসের ফাঁক দিয়ে গলায় হাসুয়া ধরে বলে, যে ভাবে লিখে সই করতে বলছি সে ভাবে সই করে দে নইলে গলা থেকে মাথা আলাদা করে দেবো। এ সময় ভয়ে ভীত হয়ে মামলার বাদি তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আসামীদের কথা মত জাতীয় গোরস্থান লিখে তাদের কথা মত সই করে দেন।

এজাহারে আরো উল্লেখ আছে, স্বাক্ষী উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউসার আলম সরকার, ভোলাহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াজদানী আলীম আলরাজী জর্জ, জিপি রোজবুল হক, এ্যাডভোকেট কমিশনার আব্দুস সামাদ ও ২ জন সাথে থাকা আনসারের কাছে অনুরুপ ভাবে সাদা কাগজে জাতীয় গোরস্থান লিখে সই করে নেয় আসামীরা।

এ সময় হুমকি দিয়ে মামলার সকল আসামীরা বলেন, ভবিষ্যতে মামলা মোকদ্দমা করলে এবং বর্ণিত সম্পত্তিতে আসলে সুযোগ বুঝে খুন জখম করে ফেলবেন। আসামীদের হুমকির ফলে মামলার বাদি ও স্বাক্ষীগণ ভীত সন্ত্রস্ত আছে বলে উল্লেখ করেন মামলার এজাহারে। এ ঘটনায় মামলার আসামী মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা তাঁদের কিছুই বলিনি। তাঁরা ঘটনা স্থলে আসলে জাতীয় গোরস্থানের নির্মানাধীন গেটের কথা জিজ্ঞোসা করেন। আমরাও সরল মনে গেট নির্মাণের কথা বলি। পরে লোকজনের সাথে গন্ডগোল বাধলে আমি এসে সমাধান করি।

তিনি আরো বলেন, যাঁরা এসেছিলেন তাঁরাই জাতীয় গোরস্থানের কথা লিখে সই দিয়েছেন বলে তিনি দাবী করেন। এ ঘটনায় ভোলাহাট থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ৫ মে থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ১। তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ৬ মে এজাহার ভূক্ত ২জন আসামী হাবিবুর রহমান ও জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতার প্রক্রিয়া অব্যহত আছে বলে জানান তিনি।

 

 

 

 

আরপি/এসআর-১০



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top