রাজশাহী সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


নাটোরের চৌগ্রাম

গোবর শুকানোর কাজে জমিদারবাড়ি


প্রকাশিত:
৩০ আগস্ট ২০১৯ ০৪:৫৭

আপডেট:
৩০ আগস্ট ২০১৯ ২১:২৮

নাটোরের চৌগ্রাম জমিদার বাড়ি

ঐতিহ্যের সংরক্ষণে বাঙ্গালী জাতির একটা সুনাম রয়েছে।এক্ষেত্রে নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম জমিদার বাড়িটি ব্যতিক্রম। প্রাসাদের ইট অনেকের বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা। প্রসাদের গায়ে আগাছারা বসবাস করছে বেশ আগে থেকেই। অপরদিকে ঐতিহ্যের যা জীবন ধরে বেঁচে আছে তা ‘গোবরের ঘুঁটো’(একপ্রকার জ্বালানি) শুকানোর কাজে ব্যবহার করছে এলাকাবাসী।


সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে ৩০০ বছরের পুরোনো এ ঐতিহ্য। নাটোরের চৌগ্রাম জমিদার বাড়ি নামে খ্যাত এ স্থানটি ইতিহাসের পাতা দখল করতে পারেনি বলেই নানাভাবে দখল করছে মানুষ। ১৭২০ সালে ৪৮ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় জমিদার বাড়িটি। রয়েছে ৯ টি পুকুর আর গাছের আধিক্য। নাটোর রাজার অধীনে জমিদার রসিক রায় এ জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন।

বর্তমানে জমিদার বাড়ি ট্রাক রাখার গ্যারেজ, ময়লা আর্বজনার ভাগাড় ছাড়াও দেয়াল গোবর শুকানোর কাজে ব্যবহার হচ্ছে।  চলনবিলের প্রাণকেন্দ্রে আগাছা বেষ্টিত অবস্থায় পড়ে আছে এ বাড়িটি।


সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হোসেন বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক এবং জেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছিলাম কিন্তু কোন কাজে আসেনি। বর্তমানে যারা আছেন তাদের কি পদক্ষেপ তা বলতে পারব না।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৫ সালে ঐতিহ্যবাহী এ রাজবাড়ি সংরক্ষণের জন্য আমরা মানববন্ধন করি। জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করেছি। আমাদের পদক্ষেপ কোন কাজে আসেনি। অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাওয়া এ বাড়ির সংস্কার এবং সংরক্ষণ চাই আমরা।

সিংড়া প্রেসক্লাব ও সামাজিক সাংস্কৃতিক ফোরাম চৌগ্রাম রাজবাড়িকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে বাংলাদেশ সরকারের জোর দাবি জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি সংস্কার কাজের বিন্দুমাত্র।

রাজশাহী কলেজ ছাত্র ফয়সাল আহমেদ বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সঠিক পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে দেশ থেকে একটির পর একটি ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া স্থানীয়দের সচেতন হওয়া দরকার। পরোক্ষভাবে আমরা নিজেরাই এটার ধ্বংশের জন্য দায়ী কি না ভাবতে হবে।

২০০৮ সালে জেলাপ্রশাসনের মাধ্যমে পর্যটন মন্ত্রণালয়ে চৌগ্রাম জমিদার বাড়ি সংরক্ষনের জন্য একটি চিঠি পাঠালেও ১০ বছরেও ফিরেনি চিঠির উত্তর। একের পর এক ছাঁদের পলেস্তারা খসে পড়ছে।বর্তমানে জমিদার বাড়ির রাজপ্রাসাদ চৌগ্রাম তফসিল অফিস হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে।

 

 

আরপি/এমএইচ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top