বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন জামাই
জয়পুরহাটে প্রতারণার মাধ্যমে ছয় বিয়ে করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মেহেদী হাসান (২৮) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে সদরের জামালপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মেহেদী জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাঞ্চাতীপাড়া কেন্দুলী গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় পাঁচ ভুক্তভোগীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার ভুক্তভোগীরা হলেন—মেহেদী হাসানের কথিত ৫ম স্ত্রী মেফতাহুল জান্নাত (২৩), ৬ষ্ঠ স্ত্রী রুমি পারভীন (২৫), শাশুড়ি শামিমা আক্তার (৪৫) এবং ৫ম স্ত্রীর দুই বাচ্চা।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান জয়পুরহাট র্যাব-৫ সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোস্তফা জামান।
র্যাব জানায়, ২০ জানুয়ারি সদর উপজেলার জামালপুর গ্রামের মেহেদী হাসানের পঞ্চম স্ত্রী জয়পুরহাট র্যাব-৫ সিপিসি-৩ ক্যাম্পে অভিযোগ করেন, তার স্বামী মেহেদী হাসানসহ লতিফ (২৫) ও মিন্টু হোসেন (২৪) নিজেদের ঠিকাদার, ইজারাদার ও বিত্তশালী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিয়ে করেন। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। পরে অন্য এলাকায় গিয়ে একই কাজ করেন তারা।
অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের ভাই, আত্মীয় বা সাক্ষী হিসেবে পরিচয় দিয়ে কাজ করতেন। অভিযোগ পাওয়ার পর র্যাব-৫ ক্যাম্প থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করা হয় এবং ঘটনার সত্যতা পায়।
মেজর মোস্তফা জামান জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে অভিযোগকারী নারীর ভাই র্যাব ক্যাম্পে ফোন দিয়ে বলেন, সহযোগীদের নিয়ে মেহেদী জামালপুর এলাকায় তার বোন, ভাগনে ও মাকে আটকে রেখে নির্যাতন করছেন। এরপর র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি বলেন, এ সময় প্রতারক চক্রের অন্য দুই সদস্য লতিফ ও মিন্টু পালিয়ে যান। এই ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা হয়েছে।
আরপি/এসআর-০৭
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: