এক করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত ১১
জয়পুরহাটে আক্কেলপুর উপজেলায় আইসোলেশনে থাকা এক করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসে একই এলাকার ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা ভাদসা ইউনিয়নের পালি গোপীনাথপুর গ্রামের করোনা রোগীর সংস্পর্শে যান।
১১ জনের মধ্যে এক সপ্তাহ আগে ৪ জন এবং শনিবার রাতে আরও ৭ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন জানান, ভোলা জেলা থেকে ২৫ বছরের এক নির্মাণ শ্রমিক জয়পুরহাটের পালি গ্রামে আসলে স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমূনা সংগ্রহ করে। তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলার পরেও সেই যুবক তা না মেনে বাইরে ঘুরাফেরা করে। এতে প্রথম অবস্থায় এক সপ্তাহ আগে ভাদসা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও তার পুত্র, ২৫ বছরের যুবক, ৪৫ বছরের পুরুষ আক্রান্ত হন। শনিবার রাতের রিপোর্টে চেয়ারম্যান এর স্ত্রী, ওই গ্রামের ১২ ও ১৪ বছরের দুইজন শিশু, শিশু মা ও দাদীসহ আরও ৭ জন করোনায় আক্রান্ত হন।
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিম মিঞা জানান, আক্রান্তরা ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিল। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ল্যাবেরেটরী মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার থেকে পাঠানো রিপোর্টে ৩১৯ জনের মধ্যে ১৯ জনের পজিটিভ হয় আক্রান্ত সকল করোনা রোগীকে আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর অব হেলথ টেকনোলজির আইসোলেশন ইউনিটে (সেফ অতিথিশালা) পাঠানো হয়। আক্রান্ত দুইজন চিকিৎসকের মধ্যে একজন গোপীনাথপুর আইসোলেশনে এবং একজন বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শনিবার দুই দফায় ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ল্যাবেরেটরী মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ল্যাবরেটরি থেকে পাঠানো রিপোর্টে ৩১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩০০ জনের নমুনা নেগেটিভ হলেও ১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা: সেলিম মিঞা ।
সদর উপজেলায় আরও ২ জন, ক্ষেতলাল উপজেলায় ২ জন, পাঁচবিবি উপজেলায় ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় এই প্রথম দুইজন চিকিৎসকসহ ১৪ জন ও শনিবার সকালের রিপোর্টে আরও ৫ জনসহ জেলায় ১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪ জনে। জেলায় এখন পর্যন্ত ৭১ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
আরপি/আআ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: