রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

ভোলাহাটে পয়ঃনিষ্কাশন বন্ধের কারণে ৬’শ বিঘা জমির ধান নষ্ট


প্রকাশিত:
২২ অক্টোবর ২০২০ ০৫:৫৪

আপডেট:
২২ অক্টোবর ২০২০ ০৫:৫৬

 ধান নষ্ট। ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে জলমহলের ইজারাদার পয়ঃনিষ্কাশন বন্ধ করে দেয়ায় পানির নিচে ৬’শ বিঘা জমির ধান তলিয়ে নষ্ট হয়ে একেবারে নিশ্চিহৃ হয়ে গেছে। উপজেলার মুশরীভূজার ৭৫জন ভূক্তভোগী কৃষক গত ১৫ অক্টোবর স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কৃষি অফিসার, মৎস্য অফিসার বরাবর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগপত্র প্রদান করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুশরীভূজা, চামামুশরীভূজা, নামোমুশরীভূজা, ঘাইবাড়ী, বারইপাড়া, জাগলবাড়ী ও রঘুনাথপুর মৌজার প্রায় ৬’শ বিঘা জমির আউশ ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে ১০/১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিলভাতিয়া জলমহল ইজারাদার সোনাজোলের ব্রীজের নিচে বালির বস্তা ফেলে বাঁধ দিয়ে পয়ঃনিষ্কাশন বন্ধ করে দেয়। ফলে রোপন করা আউস ধান তলিয়ে যায়। পয়ঃনিষ্কাশন বন্ধ না থাকলে দ্রুত পয়ঃনিষ্কাশন হয়ে ধানগুলো জেগে উঠতো। কিন্তু জলমহল ইজারাদারেরা ব্যক্তিগত ভাবে লাভবানের আশায় পয়ঃনিষ্কাশন বন্ধ করায় পানি নেমে যেতে পারেনি। ফলে প্রায় ৬’বিঘা জমির আউশ ধান পানির নিচে থাকায় তাদের ছাড়া রাক্ষসি মাছ ধানগুলো খেয়ে নিশ্চিহৃ করে ফেলেছে। এত ভূক্তভোগী কৃষকরা সর্বসান্ত হয়ে পড়েছেন।

ভূক্তভোগী কৃষক লোকমান আলী জানান, ধান নষ্ট হওয়ায় এ এলাকার প্রায় ১’শ পরিবারের ৫’শ মানুষকে না খেয়ে মরতে হবে। বিলভাতিয়া ইজারাদারদের কারণে তাদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।

অপর এক কৃষক মেজারুল হক জানান, রাক্ষসি মাছে তাদের সব ধান খেয়ে শেষ করে ফেলেছে। আশায় বুক বেঁধে ধান রোপন করে ডালভাত খেয়ে সংসারের সদস্যদের নিয়ে বাঁচতাম। কিন্তু ইজারাদারদের কারণে আজ সর্বসান্ত। তিনি ক্ষতিপূরণের দাবী করেন।

রজব আলী জানান, ঘরে একটি ধানও তুলতে পারবো না। সব খেয়ে শেষ করেছে রাক্ষসি মাছে। পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়ার ক্ষমতা নেই বলে কেঁদে ফেলেন। এদিকে বিলভাতিয়ার ইজারাদার বজলুর রহমানের পার্টনার জেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাঁধ দিয়ে পায়ঃনিষ্কাশন বন্ধের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, ব্রীজে কোন বাঁধ দেয়া হয়নি এবং যে সব ধানের জমি ডুবে আছে সেগুলো প্রপোজালেল জমি। সরকার জলাশয়ের জন্য লাল কালি দিয়ে বাতিল করেছে। ভূক্তভূগি কৃষকের অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আসাদুজ্জাবান অভিযোগপত্রটি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সমন্বয় করে সরজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আরপিআআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top