রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

ভোলাহাটে পাঠাগার ভবনে বই পাঠক কিছুই নেই


প্রকাশিত:
৩ আগস্ট ২০২১ ২৩:০৩

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:১৯

ছবি: ভোলাহাট কেন্দ্রীয় পাঠাগার ভবন

উপজেলা পরিষদ চত্বর দক্ষিণ গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই ডান দিকে উন্নত স্মৃতি সৌধ। তার পাশেই রয়েছে দৃষ্টি নন্দন ভোলাহাট কেন্দ্রীয় পাঠাগার ভবন। ২০১১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয় ভোলাহাট উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার ভবনটি।

২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর নির্মাণাধীন পাঠাগার ভবন উদ্বোধন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মু.জিয়াউর রহমান। পাঠাগার উদ্বোনকালে পাঠকের জন্য চেয়ার-টেবিল, আলমারী থাকলেও উদ্বোধনের দিন থেকে আজ পর্যন্ত কোন বই না থাকায় এ পাঠাগারে কোন পাঠক নেই।

২০১১ সালে উদ্বোধনের সময় ভবনের ভিতর যে সব চেয়ার-টেবিল ছিলো সময়ের সাথে সাথে প্রায় নষ্ট হতে বসেছে। ভবন উদ্বোধনের সময় থেকে পাঠাগারে বই পাঠক না থাকলেও ভবনের এক পাশে উপজেলা ই-সেবা দিচ্ছেন শহিদুল ইসলাম। চত্বরের পাশে ভবনের গায়ে জলজল করে লেখা ভোলাহাট কেন্দ্রীয় পাঠাগার। দীর্ঘদিন ধরে আকর্ষণীয় সৌন্দর্যের ভবনটি দাঁড়িয়ে থাকলেও কারো কোন দিন চোখেই পড়েনি এই ভবনটি। 

ভবনের ভিতর ই-সেবা দেওয়া শহীদুল ইসলাম জানান, ২০১১ সাল ভবন উদ্বোধনের সময় থেকে থেকে পাঠাগার ভবনে উপজেলা ই-সেবা দিয়ে আসছেন। উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার হলেও চেয়ার-টেবিল, একটা আলমারী আছে কিন্তু কোন বই দেখতে পাননি তিনি। তিনি আরো বলেন, পাঠাগার ভবনটি উদ্বোধন থেকে এখন পর্যন্ত আমি দেখা-শুনা করি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস এম মিজানুর রহমান জানান, ভোলাহাটে কেন্দ্রীয় পাঠাগার কোথায় আছে তা আমার জানা নাই। উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার থাকলে তো পাঠাগার কমিটি থাকার কথা। কিন্তু এমন তথ্য আমার কাছে নাই।

তিনি আরো বলেন, উপজেলায় আমার মোট ৪৭টি স্কুল রয়েছে। সব স্কুলে বঙ্গবন্ধু কর্ণার রয়েছে। সেখান থেকে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারে। ঠিক তেমনি ভোলাহাট উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার থাকলে মুক্তিযুদ্ধের বই, বঙ্গবন্ধুর উপর লেখা বই, ইসলামী বই, মনিষীদের লেখা বই, কবিতা-গল্প, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষি, মৎস্য, সফলতা অর্জন বই, গবেষণা, পত্রিকাসহ বিভিন্ন বই রাখলে খুব ভালো হবে। বই পত্রিকা থাকলে কর্মকর্তা কর্মচারীরা পাঠাগারে গিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। পাঠাগার চালু করার জোর দাবী জানান তিনি।

এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ কাউসার আলম সরকার জানান, আমিও পাঠাগারের ব্যাপারে কিছু জানি না। তবে ভবন যেহেতু আছে সেহেতু চালু করার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা দরকার।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পালের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা দিয়েও সারা মেলিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ রাব্বুল হোসেন বলেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার আছে কি না তা জানা নেই। তবে ভবন আছে সেটি উপজেলা ই-সেবার উদ্যোক্তা শহীদুলের ভবন বলে জানি। কেন্দ্রীয় পাঠাগার বলে তিনি জানেন না। পাঠাগারের কমিটি আছে এমন সন্দেহমূলক কথা বললেও কে বা কারা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা সদস্য তা জানাতে পারেননি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন বলেও জানান তিনি।

 

 

 

আরপি/এসআর-০৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top