রাজশাহী মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


বড়াল নদী খনন করে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ


প্রকাশিত:
২১ মে ২০২১ ১৭:৩২

আপডেট:
২১ মে ২০২১ ২০:৩৯

ছবি: প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রামে সরকারীভাবে খনন করা বড়াল নদীর মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। ২১ দিন যাবৎ প্রকাশ্যে দিনের বেলায় শত শত ট্রাক্টর মাটি বিক্রি হলেও রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।

এভাবে নদীর মাটি বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মাটি বিক্রেতাদের দাবী, জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই তারা এ কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন। অন্যদিকে মাটি বিক্রির বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বড়াল নদী খনন হচ্ছে। এ নদীর জোয়াড়ী বাজার এলাকার দুই কিলোমিটার খনন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খান ট্রেডার্স। নিয়মানুযায়ী এসব মাটি বাইরে বিক্রি করার কোন সুযোগ না থাকলেও জোয়াড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি দুলাল উদ্দিন এসব মাটি গাড়ি প্রতি নগদ ৮০০- ১০০০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪-১৫টি ট্রাক্টর দিয়ে কমপক্ষে ১২০-১৫০ গাড়ি মাটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে মাটি বিক্রি করে এ চক্রটি প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। একই সঙ্গে শত শত মাটি বোঝাই ট্রাক্টর চলাচলে এলাকার রাস্তাঘাটও নষ্ট হচ্ছে।

বুধবার সরেজমিনে গেলে মাটি বিক্রির দায়িত্বে থাকা মাহবুবুর রহমান বলেন, লোকজনের স্বার্থে কিছু মাটি মসজিদ-কবরস্থানে দিচ্ছি, কিছু বিক্রিও করছি। সবই তো বোঝেন। নিউজ করার দরকার নাই জানিয়ে তিনি এ প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

জোয়াড়ী গ্রামের শামসুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা প্রতি গাড়ি মাটি এক হাজার টাকা দরে কিনে নিয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বাড়ির পাশেই নদী, অথচ এ মাটি আমাদেরকে নগদ টাকায় কিনে নিতে হচ্ছে। প্রতিদিন মাটি বিক্রির লাখ লাখ টাকা এরা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খান ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মসলেম উদ্দিন জানান, এ মাটি বিক্রির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই, আমি এর সঙ্গে জড়িত না। অভিযুক্ত দুলাল উদ্দিন জানান, কিছু মাটি মসজিদ-মন্দিরে দিয়ে বাকিটা আমরা বিক্রি করছি। সে টাকা স্থানীয় ছেলেপেলেকে কিছু দিচ্ছি, কিছু আমরাও নিচ্ছি। এ বিষয়টি বরেন্দ্রের ইঞ্জিনিয়ারসহ নলেজে আছে।

বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার জানা মতে কিছু মাটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দেয়ার কথা। কিন্তু এ মাটি বাইরে বিক্রি করার কথা আমি জানি না। নদীর মাটি বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। আমি এখনই খোঁজ নিচ্ছি।


 

আরপি/এসআর-০৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top