রাজশাহী শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১


আ.লীগকে বারবার নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে: মেয়র লিটন


প্রকাশিত:
২২ আগস্ট ২০২৩ ১৮:১৮

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ১০:৪০

ছবি: বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বারবার নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। 

সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মেয়র এসব বলেন। 

দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর জয় বাংলা চত্বর থেকে বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: রাজশাহীসহ আট বিভাগেই হতে পারে বৃষ্টিপাত

প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি ডা: তবিবুর রহমান শেখ।

নগরের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সদস্য ডা: আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বারবার নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান, এরশাদসহ আরো অনেকে আওয়ামী লীগকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়, সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। পুরো আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। গ্রেনেড হামলার মূল অপরাধী তারেক জিয়াকে দেশে এনে তার শাস্তি কার্যকর করতে হবে। তারেক জিয়া তার পিতা জিয়াউর রহমানের মতো দুধর্ষ ঠান্ডা মাথার খুনি, সে ঠান্ডা মাথায় এসব খুনের নির্দেশ দিয়েছে। এদেশের মাটিতে খুনী তারেক জিয়ার সাজা কার্যকর করা হবে।

এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, নির্বাচন এলেই একটি দল, একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে নানা অপতৎরতায় লিপ্ত হয়। কখনো বিএনপি, কখনো জামায়াত, কখনো হরকাতুল জিহাদ, বিভিন্ন নামে এই মৌলবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে। মানুষকে বিভ্রান্ত করে, মানুষকে ভোট দিতে নিষেধ করে, নির্বাচন যাতে না হয় সেই চেষ্টা চালায়। তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন আটকাতে পারেনি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে হয়ে যায়, ২০১৮ সালেও নির্বাচন হয়ে যায়। এই নির্বাচনগুলো হয়েছিল বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন করেছেন। তিনি এদেশের মানুষ সেবা করে যাচ্ছেন, অসংখ্য কাজ করে যাচ্ছেন, যা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করছে। পদ্মাসেতু হয়ে গেছে, প্রশস্ত রাস্তা একটার পর একটা হয়ে যাচ্ছে, কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, যারা নির্বাচন বর্জন করতে চায়, যারা বলে তাদের দাবি না মানা হলে নির্বাচন হবে না। বাংলাদেশের মানুষ কী তাদের দাবির পক্ষে নেমেছে? তারা বর্জন করার পরও সম্প্রতি রাজশাহী সহ পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী সিটিতে নৌকা মার্কাকে ৫৬.২০ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে। এই জয় প্রমাণ করে মানুষ তাদের পক্ষে নেই, অরাজকতা, লুটপাটের পক্ষে নেই, অগ্নিসস্ত্রাসের পক্ষে নেই, গ্রেনেড হামলার পক্ষে নেই। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে, আওয়ামী লীগের পক্ষেই আছে।

আরও পড়ুন: হাউজে কাউছারের পানি থেকে বঞ্চিত হবে কারা?

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: ফ ম আ জাহিদ, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য হাবিবুর রহমান বাবু, নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, এ্যাড. শামসুন্নাহার মুক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, এ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, কে এম জামান জুয়েল, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহ্মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালাম রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডা: সিরাজুম মুবিন সবুজ প্রমুখ। 

 

 

আরপি/এসআর-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top