রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ১০ই অক্টোবর ২০২৪, ২৬শে আশ্বিন ১৪৩১


অবশেষে র‌্যাংকিং পেলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়!


প্রকাশিত:
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:৩৭

আপডেট:
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:৪১

যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক তানভীর আহমেদ

গত ৪ সেপ্টেম্বর লন্ডন ভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশনের চিফ নলেজ অফিসার ফিল বেটি আমাকে ইমেইল করে জানালেন যে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র হিসেবে সংবাদটি জেনে গর্বে আমার বুকটা ফুলে উঠলো। ফিলের ইমেইলটি পড়তে পড়তে আমি বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে বসে পড়লাম।

ইমেইলের নিচে ফিল একটা নোটও দিয়ে দিয়েছিল, আমি যেন সংবাদটি ১১ সেপ্টেম্বরের আগে প্রচার না করি। সাংবাদিক হিসেবে এমন নিষেধাজ্ঞার সাথে আমি পরিচিত হলেও খবরটি চেপে রাখা আমার জন্য ভীষণ কঠিন ছিল। পরদিন সকালে লন্ডনের হলবর্নে টাইমস হায়ার এডুকেশনের অফিসে দেখা হলো ফিল বেটির সাথে। ফিল বেটি আমাকে জানালেন, আগামী ২০২০ সালের বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০০০+ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাতারে। বিশ্বের প্রায় ২৫ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলতি বছর ১৮ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় টাইমস হায়ার এডুকেশনের তালিকাভুক্ত হয়। টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃপক্ষ চূড়ান্তভাবে ১ হাজার ৪শ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। আগামী বছর জুন মাসে এশিয়ার র‌্যাংকিং প্রকাশিত হবে, সেখানেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩০০-৩৫০ এর তালিকায় থাকার সম্ভাবনার কথা জানালেন ফিল।

 পাঠকের বিভ্রান্তি এড়াতে র‌্যাংকিং এ না আসার কারণটাও ওয়েব সাইটে উল্লেখ করা উচিত। ফিল এই দায় স্বীকার করে তাদের ওয়েব সাইট হাল নাগাদের আশ্বাস দিয়ে আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিদায় নিলো। আমি সেই অভিনন্দন বার্তাটি পৌঁছে দিতে চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের যাদের চেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবারো বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যুক্ত হলো। 

পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব র‌্যাংকিং -এ তালিকাভুক্তির খবর টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃপক্ষ সবার আগে আমাকে জানাতে গেলো কেন? এমনকি ফলাফল প্রকাশিত হবার এক সপ্তাহ আগেই! মূলত টাইমস হায়ার এডুকেশনের র‌্যাংকিং ২০১৯ এর তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। এশিয়ার সেরা বিশ্বদ্যালয়ের তালিকায়ও নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! এটি কেমন করে সম্ভব?

এরপর গত মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম স্যার লন্ডনে আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিলাম আমরা। যেখানে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণারত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই ইউকের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় শিবলী রুবাইয়াত স্যার অভিযোগ করেন, ' র‌্যাংকিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ৪৫ হাজার ডলারের আর্থিক দাবি মেটাতে না পারায় র‌্যাংকিং এ যুক্ত হতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।'

সেই ঘটনা নিয়েও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে/ টকশোতে আলোচনার ঝড় উঠে। যদিও শিবলী রুবাইয়াত স্যার পরে এক বিবৃতিতে পরিস্কার করেন যে টাইমস হায়ার এডুকেশন নয় ভিন্ন র‌্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন তিনি।' কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে এ্যালমানই এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে টাইমস হায়ার এডুকেশনের সাম্প্রতিক র‌্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের না থাকার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। এই বিতর্কের পর বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তা বোধ করলাম।

টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেলো, সংস্থাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কোন আর্থিক দাবি করেনি, বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ৯ বার ইমেইলে তাগাদা দিয়েও সাড়া পায়নি টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃপক্ষ। মোটকথা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি বিষয়টি এমন নয়, যথাসময়ে তথ্য দিয়ে সহায়তা না করার কারণে ২০১৯ সালের র‌্যাংকিং এ আসতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃপক্ষ আমাকে এও জানিয়ে দিলো ২০২০ সালের আবেদনের সময়ও শেষ হয়ে গেছে! আমি ফিলের মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললাম, ''এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা করছ তোমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাড়া? তোমাদের তালিকা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।''

ফিল বেটি মুচকি হেসে বললো, 'দেখো আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের তালিকাভুক্ত হোক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৮ সালে আমাদের তালিকায় যুক্ত ছিলো। কিন্তু চলতি বছর আমরা বার বার তাগাদা দিয়েছি, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি! এখন তুমি যদি আমাকে আশ্বস্ত করো, তুমি দায়িত্ব নিবে আমি শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক সপ্তাহ সময় বাড়িয়ে দিতে রাজি আছি, যদিও আমাদের সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে।"

৪৫ হাজার ডলার আর্থিক দাবির নিউজ করে শিবলী রুবাইয়াত স্যারের সাথে মোটামুটি আমার মান-অভিমান চলছে , সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার আর স্যারের ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য নিয়ে মাঠে নেমে পড়লো একাধিক গ্রুপ, এদের অনেকেই আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী! আমি সেই সময় প্রথম কলটি দিলাম বর্তমানে অষ্ট্রেয়েলিয়াতে পিএইচডি গবেষণারত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, আমার বন্ধু নীলিমা আক্তারকে। নীলিমা আমাকে বললো, ''তুমি সরাসরি ভাইস চ্যান্সেলর বা শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মাকসুদ কামাল স্যারের সাথে কথা বলো।''

আমি পরদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে কথা বলে আশ্বস্ত হলাম। অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান স্যার বললেন, 'বাবা বলো আমাদের কি করতে হবে বলো?' আমি বললাম স্যার টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক সপ্তাহ সময় বাড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সুযোগটি মনে হয় গ্রহণ করা উচিত। অধ্যাপক আখতারুজ্জামান স্যার বললেন, ''প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত ফিরলে সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে তুমি দুঃশ্চিন্তা করো না।' এরমধ্যে আমার সাথে শিবলি স্যারের অভিমানের পারদ গলতে শুরু করলো। ভাইস চ্যান্সেলরকে জানালাম রুবায়েত স্যার বর্তমানে ইউরোপে রয়েছেন, তার পক্ষে টাইমস হায়ার এডুকেশনের সাথে হয়তো এই মুহূর্তে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়।

আখতারুজ্জামান স্যার বললেন, প্রফেসর মাকসুদ কামাল স্যারের সাথে কথা বলো। তারপর দ্বিতীয় দফা কথা হলো আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালের সাথে, তিনিও ঈদের ছুটিতে ওমরাতে যাওয়ার পথে প্রায়। দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম, টাইমস হায়ার এডুকেশনের দেওয়া এই সুযোগটাও হয়তো কাজে লাগানো যাবে না!

পরদিন মাকসুদ কামাল স্যার ফোন করে আমাকে নিশ্চিত করলেন, ভাইস চ্যান্সেলর স্যারের সাথে তার কথা হয়েছে, তিনি ওমরাতে যাওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক প্রফেসর আসিফ আহমেদ খানকে এই বিষয়টি তদারকি করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি যেন প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রফেসর আসিফ আহমেদকে দিয়ে সহায়তা করি। ইতিমধ্যে টাইমস হায়ার এডুকেশনের ডাটা অপারেশন ম্যানেজার লিং চ্যান আমাকে নিশ্চিত করলেন প্রফেসর এ এস এম মাকসুদ কামালের নামে একটি লগ ইন আইডি খোলা হয়েছে, যার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার তথ্য টাইমস হায়ার এডুকেশনে সাবমিট করতে পারবে।

পরদিন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক প্রফেসর আসিফ আহমেদ স্যার টেলিফোনে আমাকে নিশ্চিত করলেন, টাইমস হায়ার এডুকেশনের র‌্যাংকিং বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে তারা সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। যদিও ঈদের ছুটিতে সকল বিভাগের তথ্য যথা সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না, তবুও তিনি আশাবাদী টাইমস হায়ার এডুকেশনের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তার বিভাগ প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে পারবেন। এর পর কেটে গেছে তিনমাস। ঢাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃপক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং এর তালিকা চূড়ান্ত ভাবে প্রকাশ করলো আজ।

তালিকার শীর্ষে স্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালির্ফোনিয়ার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্যের কেইমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটির অবস্থান ৫ নম্বরে, হার্ভাডের অবস্থান ৭ নম্বর যুক্তরাজ্যের ইম্পেরিয়াল কলেজের অবস্থান ১০ নম্বরে। তবে তালিকায় বরাবরের মতোই যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর আধিপত্য রয়েছে। প্রথম ২ শত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ইংল্যান্ডের ২৮ টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। প্রথম ২ শ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শুধুমাত্র চিনের টিশিঙ্গুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান যথাক্রমে ২৩ ও ২৪ তম। বেঙ্গালুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স ৩০০-৩৫০ এর তালিকায় নেমেছে যা গত বছর ২৫০-৩০০ এর মধ্যে ছিলো। পাঞ্জাবের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি রপারের অবস্থান তালিকার ৩৫১-৪০০ তে। তবে যেখানে ভারতের ৫৬ টি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্যের এ তালিকা ভুক্ত হয়েছে সেখানে বাংলাদেশের একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং এর জন্য তালিকা ভুক্ত হতে পারলো।

এই কর্ম যজ্ঞের পেছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের অবদানের কথা গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করে ফিল বেটি বললেন, তোমাদের অনুরোধ আর চাপ অব্যাহত না থাকলে ২০২০ সালের র‌্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তালিকা ভুক্ত হতো না।" তবে ফিল একথা স্বীকার করলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও গবেষণা উন্নত বিশ্বের চেয়ে কোন অংশ কম নয়, তবে গবেষণায় ইংল্যান্ড ও আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় যতটা ফান্ডিং পায় ততটা এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পায় না। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকদের উন্নত গবেষণা ও পাবলিকেশন থাকলেও সেই তথ্য হাল নাগাদ করা হয় না।

শিক্ষকদের গবেষণা ও রিসার্চ ডকুমেন্টসগুলো ওয়েব সাইটে পাওয়া যায় না। এই বিষয় গুলো নজর দিতে হবে। তবে টাইমস হায়ার এডুকেশন বা যে কোন র‌্যাংকিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম না থাকলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মানের অবনতি ঘটেছে এটি আসলে বলা যাবে না। কেননা এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজস্ব উদ্যোগে যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের তথ্য জমা দেয় সেই তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা প্রকাশ করে থাকে র‌্যাংকিং প্রদানকারী সংস্থাগুলো। ২০১৮ সালে জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য সরবরাহ করেনি তাই ২০১৯ সালের র‌্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসেনি।

২০১৯ সালে তথ্য দেওয়াতে ২০২০ সালের এডিশনে নাম অন্তর্ভুক্ত হলো। তবে টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়েব সাইটে একটা ত্রুটির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফিলের কাছ থেকে বিদায় নিলাম, ফিলকে জানালাম যে বিশ্ববিদ্যালয় যে বছর আবেদন করবে না তোমাদের ওয়েব সাইটে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোফাইলে সেই তথ্যটাও থাকা উচিত। পাঠকের বিভ্রান্তি এড়াতে র‌্যাংকিং এ না আসার কারণটাও ওয়েব সাইটে উল্লেখ করা উচিত। ফিল এই দায় স্বীকার করে তাদের ওয়েব সাইট হাল নাগাদের আশ্বাস দিয়ে আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিদায় নিলো। আমি সেই অভিনন্দন বার্তাটি পৌঁছে দিতে চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের যাদের চেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবারো বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যুক্ত হলো।

 

লেখক : যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক  ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই ইউকে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top