রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


মহাদেবপুরে লকডাউনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি


প্রকাশিত:
১৮ এপ্রিল ২০২১ ০৩:৪২

আপডেট:
১৮ এপ্রিল ২০২১ ০৭:১৯

ছবি প্রতিনিধি

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশের ন্যায় নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় চলছে কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন)। গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ রাক্ষুসে হয়ে উঠেছে ভাইরাসটি। সরকারও সংক্রমণ রোধে কঠোর অবস্থানে। বিধিনিষেধ মেনে চলতে সচেতনতামূলক প্রচার, লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ।


কিন্তু উপজেলা শহর, হাটবাজার ও ১০টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের মানুষ মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি, মুখে নেই মাস্ক, শারীরিক দূরত্বর বালাই নেই। শহরের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন উপেক্ষা করে প্রতিদিনের মতো চলছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি গণপরিবহন। কর্মজীবিসহ সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে গণপরিবহনযোগে নিজ কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছে।
লকডাউনের চতুর্থ দিন শনিবার ছিলো উপজেলার বৃহত্তম ‘মহাদেবপুরহাট’। সেখানে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সকাল হতেই শুরু হয় হাটে লোকজনের আনাগোনা।

বেলা বাড়তে বাড়তে ব্যাপক জনসমাগম। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় ঠেলে সবাই বেচাকেনায় ব্যস্ত। সবজি, মাছ-মাংশ ও গরু-ছাগলের হাটে অধিক জনসমাগম এবং একে অপরের শরীর স্পর্শ করে গাদাগাদি করে চলে বেচাকেনা। তবে হাটে আসা অনেককে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের এ ব্যাপারে উদাসীন দেখা গেছে। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়, গরম লাগে-এমন নানা অজুহাতে ব্যবসায়ীদের অনেককে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। এ যেন করোনার হটস্পট।

এদিকে, উপজেলার ব্যস্ত সড়কগুলোতে তেমন একটা ভিড় নেই। মূলসড়কের চেয়ে ভিন্নচিত্র শহরের অলিগলিতে। সংশ্লিষ্টদের বৃদ্ধাআঙ্গুলী দেখিয়ে চলছে গণপরিবহন। কাজের অপেক্ষায় কোথাও কোথাও শ্রমিকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দোকানপাট ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও খোলা রয়েছে। যানবাহন চলাচলে শুধুমাত্র মাছ চত্বর এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট পার হতে হচ্ছে। কোভিড সংক্রমণ রোধে ঘোষিত লকডাউনের ৪র্থ দিনের এ চিত্র শহরের বিভিন্ন জায়গায়।


মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অযথা ঘোরাঘুরি কিংবা অজুহাত দেখিয়ে বাইরে আসা লোকদের পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক লকডাউন কার্যকরে পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করছে।’


মহাদেবপুর উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইউএনও মিজানুর রহমান মিলন বলেন, ‘কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) বাস্তবায়নে প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে। জরুরি পরিসেবা চালু আছে। ওষুধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া বাকি সব বন্ধ আছে।’ তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চত করে মহাদেবপুর হাট বসানোর জন্য উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. গোলাম রাব্বানীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করলে খোঁজ নিয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

আরপি / আইএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top