রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


যেসব নিয়ে আলোচনা হলো পুতিন-কিমের বিরল সাক্ষাতে


প্রকাশিত:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫৬

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ০৪:২০

পুতিন-কিমের বিরল সাক্ষাত। ছবি: সংগৃহীত

হঠাৎ করেই বুলেটপ্রুফ ট্রেনে রওনা দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উন। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তাদের মধ্যে বিরল এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। তাদের এ সাক্ষাৎ ঘিরে কৌতুহল ছিল বিশ্ব নেতাদেরও। এ দুই নেতা সামরিক বিষয়, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গোপন কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের স্যাটেলাইট কর্মযজ্ঞে সম্ভাব্য রুশ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

পুতিন কিমকে রাশিয়ার দূর-প্রাচ্যে দেশটির সবচেয়ে উন্নত মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ভস্তোচনি কসমোড্রোমের চারপাশ ঘুরিয়ে দেখান। মহাকাশে উত্তর কোরিয়ার মহাকাশচারী পাঠানোর সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

এ সফরে উত্তর কোরিয়া থেকে ব্যক্তিগত সাঁজোয়া ট্রেনে চেপে রাশিয়ায় যান কিম জং উন। পুতিন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ঘুরিয়ে দেখালে তিনি রকেট নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান। এ সফরে ৭০ বছর বয়সী পুতিন ও ৩৯ বছর বয়সী কিম তাদের মন্ত্রীদের নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বিশ্বের বিভিন্ন বিষয় এবং সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করেন। তারা মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেন।

আরও পড়ুন: সাঁজোয়া ট্রেনে পুতিনের উদ্দেশে কিমের রওনা!

কিম পুতিনকে বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রাশিয়ার বীর সেনাবাহিনী এবং জনগণ উজ্জ্বলভাবে তাদের বিজয় ও ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী হবে; সামরিক অভিযান এবং শক্তিশালী জাতি গঠনের দুটি ফ্রন্টে তাদের মহৎ মর্যাদা ও সম্মানকে জোরালোভাবে প্রদর্শন করবে। তিনি বলেন, যারা আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে চায়, সেই শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও জনগণ জয় লাভ করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, কিম রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলা-বারুদ দিতে পারে। তবে মস্কো ও পিয়ংইয়ং উভয়েই তা অস্বীকার করেছে।

সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এ নিয়ে পুতিন অসংখ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে তিনি অল্পই তা প্রকাশ করেছেন। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুও আলোচনায় অংশ নেন। ক্রেমলিন বলেছে, প্রতিবেশীদের মধ্যে সংবেদনশীল আলোচনা একটি গোপন বিষয়। স্যাটেলাইট নির্মাণে মস্কো কিম জং উনকে সহায়তা করবে কি না, রুশ গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নে পুতিন বলেন, এজন্যই আমরা এখানে এসেছি।

রাশিয়া সফরে কিম বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা পরিদর্শন করেন বলে জানা গেছে। সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে পুতিন বলেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলে। তবে সেখানে অন্বেষণ করার সুযোগ রয়েছে। ক্রেমলিন বলছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আরও আলোচনার জন্য আগামী মাসে পিয়ংইয়ং সফর করবেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বিপরীতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন রাশিয়ার প্রতি তার দেশের সমর্থনেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আরটি। কিমের রুশ সফরে সতর্ক চোখ রাখছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। সফরের আগেই যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারে রাশিয়া। কিম-পুতিনের বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা যেন রাশিয়ার হাতে অস্ত্র-গোলাবারুদ তুলে না দেয়।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top