রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


চাকরি হারিয়ে মাটি কাটার কাজ করছেন উচ্চশিক্ষিতরা


প্রকাশিত:
৭ জুন ২০২০ ১৮:৫৫

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০৬:২৬

ছবি: সংগৃহীত

লকডাউনের জেরে ভারতে বেকার হয়েছেন অনেক উচ্চশিক্ষিত যুবক। তাই পেটের দায়ে তারা এখন শ্রমিকের কাজ করতেও দ্বিধা করছেন না।

জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী অনেক যুবক কাজ হারিয়ে মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি বা মনরেগা প্রকল্পের আওতায় কাজ খুঁজছেন। মাটি কাটা এই প্রকল্পের আওতায় শ্রমিকরা ১০০ দিন কাজ করার সুযোগ পান।

সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লকডাউনের কারণে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া কমপক্ষে ৩০ লাখ পরিবার কর্মহীন হয়ে রাজ্যে ফিরে এসেছেন। মূলত সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্যযোগী আদিত্যনাথের সরকার কাজের সংস্থানের জন্যেই চাকরি দেয়ার জন্য মনরেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করেছেন।

কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, শুধু পরিযায়ীরাই নন, দিনমজুরের কাজ করার জন্যে এখন আবেদন করছেন উচ্চশিক্ষিত বেকাররাও। পেটের টানে কোনো কাজ করতেই দ্বিধা করছেন না তারা।

পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, যেখানে লকডাউনের আগে এক দিনে গড়ে ২০ জন মনরেগা কর্মী কাজের অপেক্ষায় থাকতেন এখন সেখানে দৈনিক ১০০ জনেরও বেশি মানুষ চাইছেন একটি কাজ, সে যেমনই হোক না কেন। মনরেগায় কাজ করার জন্যে যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে এক পঞ্চমাংশই ডিগ্রিধারী উচ্চশিক্ষিত যুবক।

এমএ পাশ করেও মনরেগা প্রকল্পে কাজের আবেদন করেছেন উত্তরপ্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের রোশন নামে এক যুবক। তার কথায়, আমি চাকরি করতাম এবং ভালো টাকাও উপার্জন করতাম, কিন্তু লকডাউনের কারণে আমার সেই চাকরিটাই চলে যায়।

এই গ্রামেরই আরেক যুবক সত্যেন্দ্র কুমার জানান, আমার বিবিএ ডিগ্রি থেকেও কোনো লাভ হল না। অনেক চেষ্টার পর ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার একটি চাকরি পেয়েছিলাম। কিন্তু লকডাউনের ফলে সেটাও চলে গেছে। তাই মনরেগা প্রকল্পে নাম লিখিয়েছি।

রোশনের মত এরকম বহু শিক্ষিত, স্নাতকোত্তর ছেলেরা রাজ্যে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছেন।

জানা গেছে, এপ্রিল মাস থেকেই দেশে কমপক্ষে ৩৫ লাখ মানুষ মনরেগা শ্রমিক হিসাবে কাজ করার জন্য আবেদন করেছেন। একসঙ্গে এত আবেদন এই দশকে কখনও জমা পড়েনি।

 

 

আরপি/এমএএইচ-০৮



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top