রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

বেড়েই চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম, নেই বাজার মনিটরিং


প্রকাশিত:
১৫ এপ্রিল ২০২১ ২০:৫১

আপডেট:
১৫ এপ্রিল ২০২১ ২০:৫১

ছবি: মনি চত্বর মাস্টারপাড়া সবজির বাজার

সারাদেশে ন্যায় রাজশাহীতেও সরকারের ঘোষিত কঠোর লকডাউন ও পবিত্র মাহে রমজানে উপলক্ষে আকাশছোঁয়া নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। নগরীর সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে গুলোতে লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে পণ্যের দাম। সরকারের নির্ধারিত মূল্য তালিকা থাকলেও তা নামমাত্র। কোন কোন দোকানের বাইরে মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখা হলেও অধিকাংশ দোকানে তা নেই।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় রাজশাহী মনি চত্বর মাস্টারপাড়া সবজির বাজার, উপশহর নিউমার্কেট বাজার, মেহেরচন্ডী কড়ইতলা বউবাজার গুলোতে দুই এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচা সবজি, মসলা, ছোলা,ডাল চিনি, দুধ, মাছ ও সব ধরনের মাংসের দাম। তবে আকাশ ছোঁয়া শসা, আদা, ঢেঁড়স ও বেগুনের দাম। প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে।

আব্দুল নামের এক সবজি ব্যবসায়ী জানান, আগে সবজির দাম কত ছিল তা বলা যাবে না। গত দুই দিনে প্রতিকেজি সবজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকার পার্থক্য আছে । ১ মাসের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৭০ টাকায়, ব্রয়লার ৩০ টাকা বেড়ে ১৬৫ টাকা, খাসির মাংস ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ৩৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ ফ্রেশ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হালিম নামের এক ক্রেতা জানান, বাজারে নিয়মিত মনিটরিং না করায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর এতে করে আমাদের মত মধবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের অনেক অসুবিধা হচ্ছে।

এবিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী জানান, আমরা বাজার স্থিতিশীল করার জন্য নিয়মিত অভিযান চালায় যেন বিক্রেতারা সরকারের নির্ধারিত অতিরিক্ত অর্থ ক্রেতাদের কাছ থেকে না নিতে পারে। কিন্তু যারা অতিরিক্ত দামে পণ্যে বিক্রি করছে আমাদের অভিযোগ দিলে আমরা তা ব্যবস্থা নিব।

তিনি আরো জানান, ‘বাজারে বিক্রিত পণ্যের মান ও দাম ঠিক মতো রাখা হচ্ছে কিনা, পণ্যের মেয়াদ এবং সরকারের নির্ধারিত তালিকা মূল্য ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে। তবে যদি এগুলো না থাকে তাহলে তাদেরকে জরিমানা বা আইনের আওতায় আনা হয়। এতে বাজার স্থিতিশীল রাখা অনেকাংশে সহজ হয়।

আরপি/ এসআই



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top