আঙ্গুর চাষে সফলতা রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীর
আঙ্গুর চাষ সত্যিই অভাবনীয় একটি বিষয় বাংলাদেশের মাটিতে। সবুজ পাতার নিচে থোকায় থোকায় আঙ্গুর দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে যে কোন মানুষের। মাচা পদ্ধতিতে আঙ্গুর চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রাজশাহীর কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে অর্নাস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেন।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার দিঘা দাবিয়াতলা রুস্তম আলী তৃতীয় ছেলে সে। তার নিবিড় পরিচর্যায় বাড়ির আঙ্গিনাতে আঙ্গুর লতায় ধরে রয়েছে থোকায় থোকায়। বাড়ির পরিত্যক্ত জায়গাকে কাজে লাগিয়ে আঙ্গুর চাষ করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেনএলাকাবাসীকে।
অল্প জায়গাতেই অধিক ফলন এবং সুমিষ্ট হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এই চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবে বলে মনে করেন কৃষিবিভাগে উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান। প্রতিবেশীরাও হতবাক হয়েছেন লেখাপড়ার পাশাপাশি তার এমন উদ্যোগে । মাচা পদ্ধতিতে তার আগুর চাষ দেখে আগ্রহী হচ্ছে ।
ছোট বেলা থেকেই প্রকৃতির প্রতি অগাধ ভালোবাসা রয়েছে তার । বিভিন্ন ফুল ও ফলের গাছ লাগিয়ে শোভান্নিত করেছে বাড়ির আঙ্গিনায় ও বাড়ির ছাদে। লেখাপড়ার পাশাপাশি তার এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।
এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সে জানায় গাছ লাগানোর প্রতি অদম্য ইচ্ছা থাকায় মা মনিরা তিন বছর আগে পাশের বাড়ি রুহুল আমিনের বাড়ি ভিতরে একটি আঙ্গুর গাছ থেকে এটি ডোগা এনে লাগায়। সেই ডোগা রোপন করে পরিচর্চা মধ্যে দিয়ে শুরু আগুর চাষ।
গত বছর তার গাছে প্রায় ৫ কেজি ফল আসে। এবছরও যে ফলন হয়েছে তাতে(১২০কেজি) অর্থাৎ চার মণ হবে। এ পর্যস্ত কোন আঙ্গুর বিক্রি করিনি,শুধু আত্নীয় স্বজন,প্রতিবেশী,আঙ্গুর বাগান দেখতে আসা উৎসুক মানুষদের দিয়েছি। বাজারের কেনা আগুরের মতই আমার চাষ আগুর সুমিষ্ট।
মোশারফ আরও জানায়, আমি বাড়ির আঙ্গিনায় আগুর গাছ লাগানোর পাশাপাশি বারি চোর ,আম রুপালী,লেবু এবং পেয়ারা ডালিমসহ বিভিন্ন ফল ও ফুলের চারা রোপন করেছি। পরীক্ষামুলক এগুলো রোপণ করে ভালো ফলাফল পেয়েছি। বর্তমানে এ বাগান আরো বেশী পরিমান জমিতে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা আছে।
আরপি / এমবি-২
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: