রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪, ৬ই চৈত্র ১৪৩০

আজ থেকে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার হুশিয়ারি দিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক


প্রকাশিত:
১৮ মে ২০২০ ০৬:২৯

আপডেট:
১৯ মার্চ ২০২৪ ১৫:৫০

রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক। ফাইল ফটো

করোনা সংক্রমণরোধে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক।রোববার (১৭ মে) রাত ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 

ফেসবুকে তিনি বলেন, আমরা আমজনতার আচরণ দেখলাম। আশা করি- আগামীকাল (১৮ মে) একটি কঠোর সিদ্ধান্ত হবে। 

সরকার গত ১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল ও দোকানপাট খোলার রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আর রাজশাহীর জনপ্রতিনিধিরা দফায় দফায় ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করে ঈদের আগে দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

তবে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নগরীতে জমজমাট ঈদবাজার। গ্রাম থেকে মানুষ কেনাকাটা করতে শহরে আসছেন। প্রতিদিন নগরীতে মানুষের ভীড়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এমন পরিস্থিতি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় দিন পার করছে রাজশাহীবাসী।

তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এবার কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। তেমনটি ফেসবুকে বিভিন্নজনের মন্তব্যের জবাবে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।

রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ফেসবুক ওয়ালে আম ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে একটি স্টাটাস দেন জেলা প্রশাসক। তিনি লেখেন, ‘রাজশাহী থেকে আম তুলনামূলক কম খরচে রেলযোগে ঢাকা নেয়া যাবে।সকল আম ব্যবসায়ীকে রেলওয়ের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো।’

ওই পোস্টের নিচে সোহাগ খান নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারীকারী মন্তব্য বলেন, ‘স্যার, ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে দফায় দফায় এত মিটিং করলেন, কি লাভ হলো?? যেই ঈদের বাজার, সেই আছে। এটার ভয়াবহতা যে কি তা বুঝা যাবে ১৫ দিন পর। প্রশাসন নিরব দর্শকের ভুমিকায় কেন স্যার? এটার কারণ কি? আমরা রাজশাহীবাসী কি এটা জানতে পারি?’

তার মন্তব্যের জবাবে জেলা প্রশাসক লিখেন, ‘আশাকরি- আগামীকাল একটি কঠোর সিদ্ধান্ত হবে। আমরা আমজনতার আচরণ দেখলাম।’ প্রায়ই একই ধরনের প্রতিউত্তর ‘কমেন্ট’ জেলা প্রশাসক হিটলার মাহমুদ নামের একজনের মন্তব্যেও করেছেন।

এদিকে, রেলওয়েতে আম পরিবহনের বিষয়ে দেয়া পোস্টে অনেকে আম নিয়েও মন্তব্য করেছেন। নাফিসা রহমান চৌধুরী নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘স্যার, বাঘা, চারঘাট, মিরগঞ্জ এলাকা থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাতে খরচ অনেক বেশি হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় চাষীরা কি করতে পারে?’

জবাবে জেলা প্রশাসক লিখেছেন, ‘তাদের জন্য সড়ক পথের অপশন খোলা আছে।’ তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ নামের আরেক ব্যক্তিও একই প্রশ্ন করেছেন। সেখানে জেলা প্রশাসক তাকে ট্রাকে আম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন। অর্থাৎ যাদের যেভাবে আম পরিবহন করতে সুবিধা হয়, তারা সেভাবে করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী জেলায় গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর শনিবার পর্যন্ত ২১ জন শনাক্ত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাজশাহী মহানগরীতে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া পবা উপজেলায় ঢাকা থেকে আসা এক পোশাক শ্রমিক নিজেকে করোনা পজিটিভ বলে দাবি করেছেন। আবারও তার নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি করোনায় আক্রান্ত হলে জেলায় এখন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা হবে ২২ জন।

 

আরপি/এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top