রাজশাহী রবিবার, ১৬ই মার্চ ২০২৫, ৩রা চৈত্র ১৪৩১


রাষ্ট্রবিরোধী মামলা করতে আবেদন মামুনুল হকের বিরুদ্ধে


প্রকাশিত:
৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:৪২

আপডেট:
৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:৪৩

ছবি: সংগৃহীত

ভাস্কর্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করার কারণে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক গংদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী মামলা করতে অনুমতির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জিশান মাহমুদ।

রোববার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর এই আবেদন দেওয়া হয়।

মো. জিশান মাহমুদ বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৯৬ ধারার বিধান মোতাবেক রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আমলে নেওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, ১৩ নভেম্বর খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে তিনি আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটাবেন এবং ওই ভাস্কর্য ছুঁড়ে ফেলবেন।

‘অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক মাহফিলে বলেন, “কোনো ভাস্কর্য তৈরি হলে তা টেনে হিঁছড়ে ফেলে দেওয়া হবে” বলে হুমকি দিয়েছেন। তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য গত কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়ে আসছে। ’

আবেদনে আরও বলা হয়, তাদের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের রেশ ধরে তাদের অনুসারীরা গত ৪ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান স্বীকৃত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের ডান হাত ও পুরো মুখমণ্ডল বা হাতের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলে।

‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অপর নাম, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান স্বীকৃত জাতির জনক। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এ আঘাত হানা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শামিল। মাওলানা মামুনুল হক ও জুনায়েদ বাবুনগরীর প্রত্যক্ষ মদদে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত হেনেছে দুর্বৃত্তরা। যা বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অপমানজনক, অগ্রহণযোগ্য এবং তাদের এইরূপ ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং কার্যকলাপ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিরাগ ও ঘৃণা সৃষ্টির অশুভ অভিপ্রায়ে করা হয়েছে বিধায় মাওলানা মামুনুল হক গংরা দণ্ডবিধির ১২৩ক/১২৪ক/৫০৫ ধারার আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। ’

যা রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে বিধায় মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ধারায় মামলা করতে আগ্রহী বলে আবেদনে উল্লেখ করেন ওই আইনজীবী।

 

আরপি/টিএস-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top