রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৮ই বৈশাখ ১৪৩১

নারী পুলিশ কর্মকর্তার অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর মামলা

সময় পেরোলেও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন, সময় চাইলেন তদন্ত কর্মকর্তা


প্রকাশিত:
৩১ জুলাই ২০২১ ০০:৩৫

আপডেট:
৩১ জুলাই ২০২১ ০০:৩৬

প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপনের সময় পেরিয়েছে মাস খানেক আগে। তবে এখনো তা আদালতে জমা পড়েনি। উল্টো আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সময়ের মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে না পারার কারণ হিসেবে ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে না পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

জানা গেছে, মামলার তদন্তের ভার রাজশাহী মহানগর পুলিশের রাজপাড়া থানার ওপর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মামলা দায়েরের সময় তদন্তের জন্য বাদী কর্তৃক সরবরাহ করা বিভিন্ন আলামত ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞের মতামত পেলে প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ হবে। কিন্তু আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে না পাওয়া যায়নি। ফলে আদালতের কাছে সময় চেয়েছে থানা পুলিশ।

তবে মামলার বাদীর পরিবার সঠিক সময়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মামলার প্রধান আসামী ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামী পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওবাইদুল কবির সুমন। আর দ্বিতীয় আসামী করা হয়েছে পুলিশের আরেক নারী এসআইকে। সেই নারী এসআই ওবাইদুল কবির সুমনের কথিত প্রেমিকা।

মামলার বাদী নারী পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সাধারণ মানুষ যদি আইনের আশ্রয় নিয়ে ন্যায় বিচার পান, আমি আইনের লোক হয়ে কেন ন্যায় বিচার পাব না? মামলার সবকিছুই স্পষ্ট থাকা স্বত্ত্বেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আইও (ইনভেস্টিগেটিং অফিসার) সাহেব কেন সময় চাইলেন? এর মানে বুঝিনা।

তিনি আরও বলেন, এই মামলা থেকে ২ নম্বর আসামীর নাম বাদ দেয়ার জন্যই হয়তো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে কালক্ষেপন করছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল বলেন, আমি শুনেছি মামলার আইও সাহেব আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন। একটা নির্দিষ্ট সময় পরে আদালত আর সময় দিবেন না। তাই আমি আশা করি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত রিপোর্ট আমরা পেয়ে যাব।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মকবুল হোসেন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিশেষজ্ঞের মতামত ও ফরেন্সিক রিপোর্ট। আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে এই রিপোর্টগুলো হাতে এসে না পৌঁছায় আমরা আদালতের কাছে সময় চেয়েছি।

কবে নাগাদ রিপোর্টগুলো জমা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আমাদের হাতে নেই। এ বিষয়টি ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার ওপর নির্ভর করছে।

উল্লেখ্য, স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় গত ৬ জুন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন পুলিশের ওই নারী এসআই। মামলার আসামী করা হয় তার স্বামী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের এসআই ওবাইদুল কবির সুমন (৩৫) ও তার কথিত প্রেমিকা আরেক নারী এসআইকে (৩০)। আদালত মামলাটি ওসি রাজপাড়াকে তদন্ত করে গত ৯ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।

 

 

আরপি/এসআর-১৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top