রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


দোষ স্বীকার করে আমির হামজার জবানবন্দি


প্রকাশিত:
৩১ মে ২০২১ ২৩:৪৯

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২১:০৪

ছবি: সংগৃহীত

ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজা দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সোমবার (৩১ মে) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গেল মঙ্গলবার (২৫ মে) আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত সোমবার (২৪ মে) দুপুরে কুষ্টিয়ায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা যায়, মুফতি আমির হামজা ওয়াজ-মাহফিলে ইসলামের নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। ইউটিউবে প্রকাশিত তার বেশকিছু বক্তব্য উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে। যা শুনে কোমলমতি কিশোর-তরুণরা জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযানের কারণে আত্মগোপনে ছিলেন আমির হামজা।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ৫ মে সংসদ ভবন এলাকা থেকে তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টায় সাকিব নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। সাকিবকে গ্রেফতারের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় আসামি করা হয় সাকিবসহ আলী হাসান ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবীকে।

এছাড়া সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাকিবের মোবাইল ফোনে আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখ ব্যক্তির উগ্রবাদের বার্তা সম্বলিত ভিডিও পাওয়া যায়। যা দেখে সে উগ্রবাদে আসক্ত হয়। গত ১৫ মে সাকিবকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানায়, এক ইসলামী বক্তার নির্দেশে সে এই পরিকল্পনা করেছিল। কয়েকজনের ওয়াজ ও বক্তব্য শুনে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয় বলে জানায় সে।

অল্প বয়সেই কোরআনের হাফেজ হন মুফতি আমির হামজা। এরপর তিনি কওমি মাদরাসা থেকে মুফতি হন। পাশাপাশি আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিমে অত্যন্ত ভালো ফলাফল অর্জন করেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে আল-কুরআনের ওপর অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন।

 

 

আরপি /এসআর-০৯

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top