আওয়ামী লীগ নেতার ‘কুরুচিপূর্ণ’ অডিও ভাইরাল!
সিরাজগঞ্জে এক গৃহবধূর সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান (লাভু)। এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনসহ জেলাজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সাংগঠনিক ব্যবস্থাসহ লাভুকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন সলঙ্গাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অডিও ক্লিপটি এক মাস আগের। আওয়ামী লীগ নেতার চার মিনিট এক সেকেন্ডের কুরুচিপূর্ণ অডিও ক্লিপটি গত শুক্রবার (৭ এপ্রিল) স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হয়ে যায়।
অডিও ক্লিপসে দুজনের কথোপকথনে শোনা যায়, ওই গৃহবধূ ধর্মীয় সভা শোনার জন্য স্থানীয় জঞ্জালিপাড়ায় ছিলেন। এসময় আতাউর রহমান তাকে ফোন দিয়ে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে তার বাসায় আসার কুপ্রস্তাব দেন। সেইসঙ্গে তার পুত্রবধূকেও আনার কথা বলেন। দুজনকে ৫০০ করে হাজার টাকা দেবেন বলে জানান ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
এদিকে এই ঘটনার পর মহিলাটি তার ছেলের বউয়ের স্পর্শকাতর স্থানে জোর করে হাত দেওয়ার অভিযোগ এনে প্রথমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে জানালেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে থানায় যান। তার অভিযোগ থানায় কোনো সুরহা না পেয়ে তিনি আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
তার মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী লোকমান হাকিম জানান, বৃহস্পতিবার মামলার জন্য সব কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। সময়ের অভাবে তা বৃহস্পতিবার জমা দিতে পারিনি। রোববার মামলাটি দায়ের করা হবে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সলঙ্গা থানার ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, প্রায় এক মাস আগে ওই নারী বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান হিসেবে মীমাংসা করার জন্য দিন তারিখ ঠিক করার পর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাবু সাহেব হাজির হননি। যার জন্য আমি এই ঘটনার কোনো সমাধান দিতে পারিনি। একজন দায়িত্বশীল নেতার এমন কুরুচিপূর্ণ ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। দলের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
তবে আতাউর রহমান লাবু সব বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমার জীবনে এমন কোনো খারাপ ঘটনা নেই। ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ওই মেয়ের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এসব ষড়যন্ত্রের পেছনে জিল্লুর চেয়ারম্যানের হাত আছে।
ভয়েস রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভয়েসটা আমার কিন্তু কীভাবে এডিট করা হয়েছে আমি জানি না।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে একজন দায়িত্বশীল নেতার মুখ থেকে এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য সত্যিই দুঃখজনক।’
আরপি/এসআর
বিষয়: আওয়ামী লীগ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: