রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


সরু ও সুগন্ধি ধান চাষে লাভ বেশি: ব্রি মহাপরিচালক


প্রকাশিত:
১২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৫৮

আপডেট:
১২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:১১

ছবি: কর্মশালা

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেছেন, দেশের মানুষের জীবন-মান উন্নয়নের সাথে সাথে সরু ও সুগন্ধি ধানের চাহিদা বেড়েছে। শুধু পারিবারিক প্রয়োজনেই নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সুগন্ধি ধান চাষ হচ্ছে। কারণ এই ধান চাষে সমান শ্রমে লাভ বেশি। তাই উচ্চফলনশীল সুগন্ধি ও প্রিমিয়াম জাতের বাণিজ্যিক আবাদ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বেসরকারী সংস্থা এসেডস, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ এর উদ্যোগে ‘স্কেলিং আপ প্রিমিয়াম কোয়ালিটি রাইস ইন নর্দান রিজিয়ন অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রারম্ভিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার বেসরকারী সংস্থা এসেডস, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ প্রাঙ্গণে ‘স্কেলিং আপ প্রিমিয়াম কোয়ালিটি রাইস ইন নর্দান রিজিয়ন অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে ব্রি ও এসেডস।

আরও পড়ুন: মৃত বাবার কাছে যেতে কলেজছাত্রীকে বাধা!

ব্রির মহাপরিচালক বলেন, সোনালী ধান কৃষকের সোনালী স্বপ্ন, এ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুদীর্ঘ কাল থেকে গ্রাম বা শহরে ধনী কিংবা গরীব সকলের ঘরোয়া উৎসবে, অতিথি আপ্যায়নে সুগন্ধি ও প্রিমিয়াম চালের তৈরি নানান মুখরোচক খাবার আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। ঈদ-পূজা-পার্বনসহ নানা উৎসব ও আয়োজনে অতিথি আপ্যায়নে সুগন্ধি চালের তৈরি পোলাও, বিরিয়ানি, কাচ্চি, ফিন্নি, পিঠাপুলিসহ নানান মুখরোচক খাবার পরিবেশন বাঙালী সংস্কতির অংশ। তাই উচ্চ ফলনশীল জাতের সরু ও সুগন্ধি ধানের আবাদ বাড়াতে হবে।

এসেডস এর চেয়াম্যান ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মো. সাখাওয়াত হোসেন সুইটের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ইউসুফ রানা মন্ডল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং ব্রি’র ফলিত গবেষণা বিভাগীয় প্রধান কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ড. শাহ কামাল খান, সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: আবু হানিফ, বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ দুলাল হোসেন।

আরও পড়ুন: নৌকার প্রার্থীর টাকা বিলানোর ভিডিও ভাইরাল

এই কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফলিত গবেষণা বিভাগের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. মো. রফিকুল ইসলাম। মূলপ্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন- বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. বিশ্বজিৎ কর্মকার। মুক্ত আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন- ব্রি’র উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খন্দকার মো. ইফতেখারুদ্দৌলা।

অন্যানের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগণ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাবৃন্দ ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ, বেসরকারী সংস্থা এসেডস এর কর্মকর্তাবৃন্দ। রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, কৃষক প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

আরপি/এসআর-০৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top