রাজশাহী রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


‘কিছু বড় দেশ চায় বাংলাদেশে এমন সরকার থাকুক যেটি তাদের পা চাটবে’


প্রকাশিত:
৩১ আগস্ট ২০২৩ ০৪:৪৪

আপডেট:
৩১ আগস্ট ২০২৩ ০৫:৫৬

ছবি: আলোচনা সভা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্বের কারণে বিশ্বের কয়েকটি বড় শক্তি এখানে তাদের অনুগত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কিছু বড় দেশ চায় এখানে (বাংলাদেশে) এমন একটি সরকার থাকুক যেটি তাদের পা চাটবে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: দাফনের দেড় বছর পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ রক্ত দিয়ে দেশে গণতন্ত্র এনেছে। এরপরেও আমাদের হাতে গণতন্ত্র সুরক্ষিত নয় এমনটা শুনতে হচ্ছে। যারা গণতন্ত্রকে কখনও প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়নি, তারাই এখন গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী হয়ে গেছে। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের। আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী আছে, যারা বুদ্ধি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। জনগণ যাদের আন্দোলনের মাধ্যমে বিতাড়িত করেছে তাদেরকে তারা খুঁজে বের করে গণতন্ত্রের কথা বলার জন্য। তারা (বুদ্ধিজীবীরা) এদের পক্ষে কথা বলে।

তিনি বলেন, অবাক লাগে যখন বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনি। যাদের সৃষ্টি হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাত থেকে, কারচুপি করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে। তাদের মুখে আর যা-ই হোক, গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। তাদের কিছু প্রভু আছে। তারাও তাদের সঙ্গে সুর মেলায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র নাকি প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে। জিয়াউর রহমান জাতির পিতাকে হত্যা করে মার্শাল ল জারি করে ক্ষমতা দখল করেছিল, এরশাদ করেছিল, আমরা যখন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি সেসব লোক বা সেসব দেশের তখন সেই চেতনা দেখিনি। আজকে নির্বাচন সুষ্ঠু চায়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কত পরিমাণ অর্থসম্পদ তারা লুটপাট করে নিয়ে গেছে যে সেই টাকা এখন বিদেশে বসে খরচ করে। বিদেশে বসে সেই টাকা খরচ করে, এখানে আবার অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। আর গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী কয়েকটি দেশ আছে, তারাও নাকি শুধু গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ায়।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ২৩৬৭

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে কেউ কেউ চায় এখানে পদলেহনকারী সরকার নিয়ে আসতে। এরা যাদের বন্ধু তাদের আর শত্রু লাগে না। ইউক্রেন বন্ধু হয়েছিল, আজকে ইউক্রেনের অবস্থাটা কী দাঁড়িয়েছে? সেখানকার মেয়েরা, বাচ্চারা আজ কী কষ্ট পাচ্ছে? এমনই বন্ধুত্ব যে, সেই বন্ধুত্বের কারণে তাদের দেশও শেষ। সেখানকার নারী-শিশুরা মানবেতর জীবন-যাপন করে। এটা হলো বাস্তবতা।

 

 

আরপি/এসআর-১৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top